তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতির নামে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যাকারীদের রাজনীতি থেকে বিদায় দেওয়া এবং অগ্নিসন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের হুকুমদাতাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোই আজ দেশের মানুষের এক দফা দাবি। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠন আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানুষ পোড়ানো, অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন’ শীর্ষক পোড়া মানুষের আহাজারিপূর্ণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে এ পোড়া মানুষগুলোর, জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃতদের স্বজনদের অসহনীয় জীবনের জন্য দায়ী বিএনপি-জামায়াতের নেতারা। বেগম খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্দেশে এবং ফখরুল-রিজভী-আব্বাস-খন্দকার মোশাররফ সাহেব যারা বড় গলায় কথা বলেন, তাদের পরিচালনায় ও অর্থায়নে দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত তাই মানুষের শত্রু, পশুপাখির শত্রু, প্রকৃতির শত্রু; এরা অগ্নিসন্ত্রাসী, এরা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী।
এ সময় পেট্রোলবোমায় পুড়ে মারা যাওয়া চৌদ্দগ্রামের মোহাম্মদ ইউসুফের সন্তান জাহেদুল ইসলাম, গাজীপুরের কাভার্ডভ্যান চালকের বাবা মো. রমজান, শাহবাগের নাহিদের মা রুনি বেগম, ঠাকুরগাঁওয়ের রফিকুল ইসলাম, রাজশাহীতে কর্মরত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ সাব-ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর, যাত্রাবাড়ীতে সম্পূর্ণ মুখম ল ও শরীর ঝলসে যাওয়া সালাহউদ্দিন ভূঁইয়াসহ অর্ধশতাধিক পেট্রোলবোমার শিকার ও তাদের স্বজনরা বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের বিলাপ ও আহাজারিতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’-এর আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ, ব্যারিস্টার সাঈদুল হক সুমন, মোটরচালক শ্রমিক লীগ নেতা আলী হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অরুণ সরকার রানা, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য দেন।