মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
বাজেট স্বল্পতা

সিসি ক্যামেরা থাকছে না শূন্য পাঁচ আসনে নির্বাচনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া পাঁচ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হচ্ছে না। বাজেট স্বল্পতায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে রবিবার এ উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে গতকাল নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ভোটে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার অনেক ব্যয়বহুল। কমিশনের বাজেট ও ম্যানেজমেন্টের সীমাবদ্ধতা আছে। তাই এ মুহূর্তে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বাজেট নেই। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ক্যামেরা বসানো হতেও পারে। এ পাঁচ আসনের উপনির্বাচনে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, হঠাৎ করে বিএনপি এমপিরা পদত্যাগ করবেন এটা কমিশনের মাথায় ছিল না। তা ছাড়া সিসি ক্যামেরা ব্যবহারই সুষ্ঠু সমাধান নয়। নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার কোনো সলুশন নয় জানিয়ে তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা কোনো সলুশন নয়। এটা আইসিসিতে থাকার মতো। বিএনপির পাঁচ আসন শূন্য হবে এটা অপ্রত্যাশিত ছিল। তা ছাড়া এ বিষয়ে বাজেটও ধরা হয়নি। সুতরাং এ পাঁচ আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কি না সে বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, অনেক নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ছিল না, অথচ কোনো অঘটন ঘটেনি। এবার নির্বাচন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে, এতে ব্যালান্স হবে। ফলে নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা লাগবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এটা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। এডিপির টাকা প্রকল্পে খরচ করা যায়। সিসি ক্যামেরা রেভিনিউর টাকায় কিনতে হয়। তার পরও ভোট হতে বাকি আছে। যদি প্রয়োজন হয় তবে কমিশন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতেও পারে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার দল তৃণমূল বিএনপির ব্যাপারে আদালত যে আদেশ দিতেৃণ সেটা হাতে পাওয়ার পরই কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

শূন্য পাঁচ আসনে ভোট ফেব্রুয়ারি : বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া ছয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহীরা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৮ জানুয়ারি বাছাইয়ের পর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে। ১ ফেব্রুয়ারি ভোট নেওয়া হবে ইভিএমে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগের গণসমাবেশে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন তারা সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর দফতরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে ছয়জনের আসন শূন্য ঘোষণা করে ১১ ডিসেম্বর রাতেই গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনের ছেড়ে যাওয়া আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। রুমিন ফারহানার পদত্যাগে শূন্য হওয়া সংরক্ষিত নারী আসনে (মহিলা আসন-৫০) ভোটের তারিখ এ পাঁচ আসনের ফয়সালা হওয়ার পর ঘোষণা করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর