বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট

ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী সুরক্ষা দিতে হবে

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিকের অতিরিক্ত নিরাপত্তা এসকর্ট প্রত্যাহারের ঘোষণার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। গতকাল নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ প্রশ্নের উত্তরে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী সব কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি মার্কিন দূতাবাস বা এর কর্মীদের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিশদ বিবরণে প্রবেশ করতে যাচ্ছি না। তবে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে কোনো স্বাগতিক দেশকে অবশ্যই ‘সব কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণ এবং কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তার বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে হবে এবং কর্মীদের ওপর যে কোনো আক্রমণ প্রতিরোধে উপযুক্ত সব পদক্ষেপ নিতে হবে।

এর আগে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, তারা চাইলে অর্থের বিনিময়ে পেতে পারে। আমরা করদাতাদের অর্থ দিয়ে এই অতিরিক্ত (নিরাপত্তা) এসকর্ট পরিষেবা প্রদান করব না। মন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোতে কোনো সরকারই এ ধরনের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেয় না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়নি যে, এ ধরনের সেবা দেওয়ার প্রয়োজন আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কূটনীতিকদের স্বাভাবিক নিরাপত্তা আগের মতোই থাকবে, শুধু বাড়তি নিরাপত্তা এসকর্ট প্রত্যাহার করা হবে। বাংলাদেশ সম্পর্কিত অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া বা তুলে নেওয়ার বিষয়ে নতুন কোনো খবর নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের কথা বললে আমি আগেও বলেছি গত বছর আমাদের দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে। আমরা যে সম্পর্কের জন্য অপেক্ষা করছি, তা হলো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী নির্বিশেষে সেই সম্পর্ক আরও গভীর করা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা আরও দৃঢ় করা। বিশ্বজুড়ে যে কোনো নির্বাচনে আমাদের প্রত্যাশা হলো নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে। তবে এর বাইরে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বা এ-জাতীয় কিছুর ক্ষেত্রে অন্তর্দৃষ্টি দেওয়ার মতো আর কিছুই নেই।

 

 

সর্বশেষ খবর