গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে উৎপাদন হবে এই বিদ্যুৎ। ঢাকার আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে এই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হবে। ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে আমিনবাজার ল্যান্ডফিলের ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিগ্রহণবিষয়ক সভায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। আগামী ২৪ মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ২৫ বছর পর্যন্ত কিনবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য এক যুগান্তকারী অর্জন। তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্র বর্জ্য উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বর্ধিত বর্জ্য নিষ্পত্তি করতে না পারলে দেশের সার্বিক পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেবে। সে জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সারা দেশের বর্জ্য নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রতিদিন ৩ হাজার টন মিক্সড বর্জ্য থেকে উৎপাদন করা হবে।
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ধারণা ও অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি জানান, টেকসই উন্নয়নের জন্য এ ধরনের প্রকল্পের কোনো বিকল্প নেই। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যেমন আমাদের বর্জ্য নিষ্পত্তি হবে, তেমনি বিদ্যুতের মতো অতি প্রয়োজনীয় শক্তিও আমরা উৎপাদন করতে পারব, যা আমাদের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার কিছুটা সংকুলান হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম প্রমুখ।