শিরোনাম
রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাসায় চিকিৎসা চলবে খালেদা জিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাসায় চিকিৎসা চলবে খালেদা জিয়ার

শারীরিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিয়ে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র উদ্দেশে রওনা দেন এবং রাত ৭টা ৫০ মিনিটে বাসায় পৌঁছান। দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল থেকে ছুটি মিললেও বাসায় একই চিকিৎসা চলবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ জুন রাত দেড়টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সেখানে অধ্যাপক ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলে। টানা পাঁচ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গতকাল বাসায় ফিরলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় একই হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন নিজ বিছানা থেকে উঠে এসে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দলীয় চেয়ারপারসনকে বিদায় জানান। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাবেক এমপি লায়ন হারুন-অর রশিদ, বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. পারভেজ রেজা কাঁকন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামছউদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি হাসপাতাল চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় অসংখ্য নেতা-কর্মীর ভিড় ছিল সেখানে। রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও উৎসুক জনতা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাদের প্রিয় নেত্রীকে অভিবাদন জানান। অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। তিনি লিভার, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। কদিন পর পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। তিনি সব সময়ই চিকিৎসাধীন। বাসায় গেলেও তাঁর চিকিৎসা চলবে। ২৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পাঁচ দিন হাসপাতালে রেখে তাঁর স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। পরে বাসভবনে ফেরেন তিনি। গত বছর জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদ্?যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এর পর থেকে তাঁর দন্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর