সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

হিরো আলমসহ আটজনের মনোনয়ন পত্র বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে রওশন এরশাদপন্থি মো. মামুনুর রশিদ ও আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম)-সহ আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাতজন।  গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) মনোনয়ন বাছাই করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ১৫ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বাছাইয়ে সাতজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। বাকি আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির জি এম কাদেরপন্থি সিকদার আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন, গণতন্ত্রী পার্টির মো. কামরুল ইসলাম (চেয়ারম্যান মনোনয়ন দিয়েছেন), গণতান্ত্রী পার্টির অশোক কুমার ধর (মহাসচিব মনোনয়ন দিয়েছেন), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেন, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।  যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে- জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদপন্থি মো. মামুনূর রশিদ, মো. তারিকুল ইসলাম ভূঞা (স্বতন্ত্র), আবু আজম খান (স্বতন্ত্র), আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), মুসাউর রহমান খান (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)-এর মো. মজিবুর রহমান ও শেখ আসাদুজ্জামান জালাল (স্বতন্ত্র)। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা চাইলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। এদিকে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন হিরো আলম। গতকাল প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলম বলেন, যতবারই নির্বাচনে দাঁড়াই আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। প্রতিবারই কেন বাতিল করা হয় আমি জানি না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভয়-ই পায় কি না জানি না। এর আগেও দুবার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। হাই কোর্ট থেকে এনে ভোটও করেছি, ভোটে জিতেছি; ফলাফল জিরো। তিনি বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তাকে ভয় না পেলে বারবার কেন হ্যারাস করা হচ্ছে? আমি হাই কোর্টে গেলে প্রার্থিতা ফেরত পাব।’ তিনি বলেন, তারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিল, ঋণখেলাপি, মামলা কিছু বের করতে পারেনি। তারা বলছে, আমি যে ভোটারদের স্বাক্ষর দিয়েছিলাম, তাদের তারা খুঁজে পায়নি। স্বাক্ষর করাদের মধ্যে তিনজন তো আমার সঙ্গেই ছিল। সেটা দেখতে বললাম, দেখল না। আমি কমিশনে আপিল করব। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জটিলতা ও আরপিও অনুযায়ী জাতীয় পার্টির মামুনূর রশিদ দলের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যয়নপত্র আনতে না পারায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বাছাইয়ে গণতন্ত্রী পার্টির দুজনের মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। পরদিন হবে প্রতীক বরাদ্দ। সবশেষে ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর