বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সিরিজ ডাকাতিতে সক্রিয় তিন গ্রুপে ৩৫ জন

র‌্যাবের কবজায় আট সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তাদের রয়েছে ৩৫ সদস্যের বড় আকারের তিনটি গ্রুপ। এসব গ্রুপের রয়েছে আবার দুই-তিনটি উপগ্রুপ। ডাকাতির জায়গা রেকি করার পর অস্ত্রের পাশাপাশি ককটেল ব্যবহারের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করত তারা। পরে রেকি করা এলাকায় সিরিজ ডাকাতি করে গা ঢাকা দিত। এমনই একটি আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সর্দারসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। সোমবার ঢাকার শ্যামপুর, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও মাদারীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- সুমন মাতুব্বর, ইসমাইল সরদার ওরফে লিটন, মামুন সরদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, হারুন ব্যাপারী, জলিল ওরফে সম্পদ ব্যাপারী, শেখ জাহাঙ্গীর ও রুবেল মোল্লা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কাটার   (তালা কাটায় ব্যবহৃত), রুপার অলংকার ও ১৫টি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সুমন মাতুব্বর ও আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত ককটেল তৈরির সালফার ও দুটি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার বাখন্ডা বাজারে ২৭ মে সিরিজ ডাকাতি করে ১৫ সদস্যের একটি ডাকাত দল। ডাকাত দলটি স্বর্ণের দোকান, মুদি দোকান, ইলেকট্রনিক্সের দোকানসহ বেশ কয়েকটি দোকানের মালামাল ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ডাকাতি হওয়া দোকানের মালিকরা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ ডাকাতি করে আসছিল। তারা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, বরিশাল-ফরিদপুর, মাওয়া-গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন আন্তঃজেলা মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাকাতি করে আসছিল। র‌্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ডাকাত দলের সদস্যরা ছোটখাটো ব্যবসা করত। যখন যেই কাজ পায় তা করত তারা। আর যেহেতু অপরাধপ্রবণ তারা দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করত। ফরিদপুরে ডাকাতির ঘটনায় আমরা ১৫ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। এ ঘটনায় তারা ৫০ লাখ টাকার মালামাল নিয়েছে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তারা এই ডাকাতি করত। তারা যেসব জায়গায় ডাকাতি করবে সেখানে আগে পর্যবেক্ষণ করে নেয়। তিনি বলেন, ডাকাত সুমনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি ও হত্যা চেষ্টাসহ মোট ২০টি মামলা রয়েছে। ডাকাত মামুন সরদারের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও মারামারিসহ তিনটি মামলা রয়েছে। ডাকাত সর্দার ইসমাইল সরদার ওরফে লিটনের বিরুদ্ধে দুটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। ডাকাত হারুন ব্যাপারীর বিরদুদ্ধ দুটি ডাকাতি ও একটি অপহরণ মামলা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর