মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
ওয়াটার বাস দুর্ঘটনা

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছিল বাল্কহেড

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই রাতের বেলায় চলছিল বাল্কহেড। আর সেই বাল্কহেডের ধাক্কায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যায় ওয়াটার বাস। নির্মম মৃত্যু হয় ওয়াটার বাসের তিন যাত্রীর। অন্যদিকে টানা ৯ ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ওয়াটার বাসটিকে উদ্ধার করে। তবে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সমন্বিত টহল অব্যাহত রয়েছে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায়। গতকাল রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপুলিশের সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে সন্ধ্যার পর বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। মালিক, শ্রমিক ও প্রশাসনের সমন্বিত সিদ্ধান্ত ছিল এটি। এর পরও নানা অসিলায় ও কৌশলে বাল্কহেডের মালিকরা তা এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। ধরলেই তারা বলতেন পাশের ঘাটেই নোঙর করবেন। তিনি বলেন, সর্বশেষ দুর্ঘটনায় আটক বাল্কহেডের চালকের দাবিও ছিল, মুন্সীগঞ্জ থেকে বালু নিয়ে মালিকের বাড়ি সাভারে যাচ্ছিলেন তারা। রাত হয়ে যাওয়ায় থানা ঘাটেই নোঙরের প্রস্তুতি চলছিল। এ রকম অজুহাত বাল্কহেড চালক-মালিকদের সব সময়ের। রবিবার রাতে সোয়া ৮টার দিকে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল। স্থানীয়রা জানান, ওয়াটার বাসটি রাজধানীর লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটে যাচ্ছিল। বালুবোঝাই এমভি আরাবি নামের একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় এটি। প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে রওনা দেওয়া ওয়াটার বাসটি ডুবে যাওয়ার সময় অনেকেই সাঁতরে জীবন রক্ষা করেন। পরে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে সহায়তা বাবদ নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। স্বজন হারানোর শঙ্কায় রাতে বুড়িগঙ্গার তীরে ছুটে আসেন অনেকে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওয়াটার বাসটি নদী থেকে টেনে তোলা হয়েছে। ভিতরে আর কারও লাশ পাওয়া যায়নি। তবে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস সমন্বিত টহল অব্যাহত আছে।

সর্বশেষ খবর