সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

আপ্যায়ন নিয়ে যা বললেন গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

আপ্যায়ন নিয়ে যা বললেন গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘একমাত্র মৃত্যু চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে আমাকে থামাতে পারবে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত তিনি যেন আমাকে চিতায় না তোলেন।’ গতকাল নয়াপল্টনে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

গত শনিবার রাজধানীর ধোলাইখালে রাজপথে ফেলে পুলিশ গয়েশ্বর রায়কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে এবং পরে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে তাঁর জন্য যে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল, সে খাবার গয়েশ্বর খাননি বলে জানান। ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের জন্য বাসা থেকে পাঠানো খাবারই খেয়েছেন তিনি। গয়েশ্বর জানান, ডিবি কার্যালয়ে তাঁর জন্য যে খাবারের আয়োজন করা হয়, তা তাঁর স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী ছিল না। এ ছাড়া এই খাবার নিয়ে তাঁর সন্দেহও ছিল। সে কারণে তিনি আর ওই খাবার গ্রহণ করেননি। তিনি আরও জানান, ‘ডিবি প্রধানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সৌজন্যতা রক্ষায় হারুনের জন্য বাসা থেকে নিয়ে আসা খাবার থেকে ভাতসহ হালকা সবজি ও রুই মাছের একটি টুকরা গ্রহণ করি।’ গয়েশ্বর বলেন, ‘ডিবি প্রধান আমাকে অনুরোধ করেছেন, রুই মাছটি তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। আর যেহেতু ডিবি প্রধান নিজেই খাবারটি খাচ্ছেন, তখন আমার মনে হলো- এটা যদি গ্রহণ করি, তাহলে সমস্যা হবে না। তবে আপ্যায়ন করে সেটার ছবিসহ ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও ঘৃণ্য কর্মকান্ড।’ তিনি বলেন, ‘যারা এ কাজটি করেছে এটি অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচায়ক। এক ধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক। এতে কি সরকার প্রমাণ করতে চায় যে, আমরা হাভাতে? ভিক্ষা করে খাই? গ্রামের ভাষায় বলা হয় ‘খাইয়ে খোটা দেওয়া’। ডিবি অফিসে আমার সঙ্গে যা করা হলো তা ওই রকমই। আমার বাড়িতে তো বিভিন্ন সময় অনেক লোক খায়। এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। কিন্তু এই খাবারের ছবি উঠিয়ে কি আমি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেব? এটা কি আমার জন্য ভালো হবে?’ গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকারের কোনো প্রলোভন আমাকে কিনতে পারবে না। সরকারের কাছে এত টাকা নেই যে, গয়েশ্বরকে কিনতে পারে। সরকার গ্রেফতার করতে পারে, এমনকি প্রাণও নিতে পারে- এই শক্তি সরকারের রয়েছে। কিন্তু গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না।’ চলমান জনসম্পৃক্ত আন্দোলন সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গয়েশ্বর রায়। শনিবার ধোলাইপাড়ে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের পর দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে নিয়ে আসা হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরে বিকাল ৩টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে গয়েশ্বরকে নয়াপল্টনে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।

 

সর্বশেষ খবর