শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

এফবিসিসিআই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) ২০২৩-২৫ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট দিয়েছেন ব্যবসায়ী ভোটাররা। সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিল করেন। এ ছাড়া প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্রের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। এফবিসিসিআই নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মোট ভোটার ছিল ১ হাজার ৯৫৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৪৬টি ভোট কাস্ট হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৮৯ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।’ গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন এ মতিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী আমরা নির্বাচন পরিচালনা করেছি। আমাদের চেষ্টা ছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। আমরা তা করতে পেরেছি। কোনো ভোটারের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পাইনি।’ নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভুয়া ভোটের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। কারণ আমরা ভোট গ্রহণের আগে প্রত্যেক ভোটারের নাম ও এনআইডি কার্ড নিশ্চিত করেছি। ফলে ভুয়া ভোটের কোনো আশঙ্কা নেই।’

জানা গেছে, চেম্বার গ্রুপে ২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হয়েছে কেবল অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩টি পদে। অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৯ জন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন, সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট গণনা করে ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচিত পরিচালকদের নাম ঘোষণা করা হবে। নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে ২ আগস্ট এফবিসিসিআই সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও ছয়জন সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হবেন। আগামী দুই বছরের জন্য সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ব্যবসায়ী মাহবুব আলমকে সমর্থন দিচ্ছেন সালমান এফ রহমানসহ সাবেক সভাপতিরা।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে উন্নীত হতে হলে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিত্বমূলক অংশগ্রহণের বিকল্প নেই। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সঠিক নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চায় এফবিসিসিআইর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি স্বতন্ত্র নির্বাচন বোর্ড গঠন করেছে এফবিসিসিআই। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য থাকবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া। পছন্দের প্রার্থীকে মূল্যবান ভোটটি দিয়ে বেসরকারি খাতের জন্য সঠিক নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার দায়িত্ব ভোটারদের।’ শৃঙ্খলা বজায় রেখে, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করে এফবিসিসিআইকে সহযোগিতা করতে ভোটারদের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এফবিসিসিআই সভাপতি প্রার্থী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এফবিসিসিআইর নেতৃত্বকালীন বেসরকারি খাতের স্বার্থ রক্ষা ও উন্নয়নে সর্বোচ্চ অবদান রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভিশন-২০৪১ লক্ষ্য অর্জনের জন্য আগামী এক দশকে আমাদের ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সব শিল্পে ডাবল ডিজিট গ্রোথ অর্জন করতে হবে। এ জন্য আমাদের বেসরকারি খাতে ইজ অব ডুইং বিজনেস নিশ্চিত এবং কস্ট অব ডুইং বিজনেস হ্রাস করতে সহায়ক নীতি প্রণয়নে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘সব বাণিজ্য সংগঠনের এপেক্স বডি হিসেবে আমাদের উচিত স্মার্ট ও টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলার ভিশন বাস্তবায়নে সামগ্রিকভাবে সরকারের সঙ্গে কাজ করা। তাই সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তিগত সমন্বয় ও সাসটেইনেবল প্র্যাকটিসকে গতিশীল করতে এফবিসিসিআইতে আমাদের স্মার্ট লিডারশিপের প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর