শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রুল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে রুল জারি করা হাই কোর্টের বেঞ্চ পরিবর্তন করে নতুন একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত। গতকাল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। আপিল বিভাগ শুনানি শেষে আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেন। রুল জারি আদালত থেকে পরিবর্তন করে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন।

এ মামলায় গত ৬ জুন শ্রম আদালতের বিচারক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এরপর অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাশের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যায় রাষ্ট্রপক্ষ।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ইউনূস ছাড়াও এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহানকে আসামি করা হয়। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

সর্বশেষ খবর