শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়া ফের হাসপাতালে ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবারও হাসপাতালে ভর্তি হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে ৭টা ৫০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেন। রাত ৯টা পর্যন্ত হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্যের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানো হয় বলে জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। মেডিকেল বোর্ডের আরেকজন চিকিৎসক জানান, লিভার সিরোসিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আরও কয়েকটি টেস্ট করানোর প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ন্যূনতম তিন দিন তাঁকে হাসপাতালে রাখতে হবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করতে। বিকালে হাসপাতালে রওনা হওয়ার আগে গুলশানের বাসায় গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা মহানগরী উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, মহানগরী দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সাবেক এমপি রেহেনা আক্তার রানু, মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা শিরিন সুলতানা দেখা করেন।

এর আগে ১৩ জুন গভীর রাতে অসুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে ১৭ জুন তিনি বাসায় ফেরেন।

চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ নিয়েই বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই। এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার হাসপাতালে যাওয়ার পথে নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠান চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব (পিএস) এ বি এম আবদুস সাত্তার।

এর আগে ২৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পাঁচ দিন হাসপাতালে রেখে তাঁর স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়েছিল। পরে বাসভবনে ফেরেন তিনি।

গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর