শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বন্যাদুর্গতদের জন্য ৭০ লাখ টাকা, ৭০০ টন চাল বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৭০ লাখ টাকা, ৭০০ মেট্রিক টন চাল ও ২১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। গতকাল সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। কয়েকদিনের টানা বর্ষণে প্লাবিত চট্টগ্রামের সব জেলা। ডুবে গেছে সড়ক, বাড়িঘর। পাঁচ জেলায় পানিবন্দি প্রায় ১১ লাখ মানুষ। রাঙামাটির ২৩৫ জায়গায় পাহাড়ধস ঘটেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, টানা পাঁচ দিনের ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া; কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া; বান্দরবানের রামু এবং রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির কিছু জায়গা প্রবলভাবে প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যাদুর্গত এলাকায় সেনা ও নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা দুর্গত এলাকার মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। সেখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চলমান আছে। মাঠ প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উদ্ধার ও মানবিক সহায়তা দিতে কাজ শুরু করছেন।

তিনি জানান, দুর্যোগ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ৩ জুলাই প্রতিটি জেলায় আপৎকালীন দুর্যোগ মোকাবিলায় ২০০ টন করে চাল, ১০ লাখ টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছিল। ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ১০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল এবং ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। গতকাল বন্যাদুর্গত জেলার জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে চকরিয়া, পেকুয়া, লোহাগাড়ার জন্য ১০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল এবং ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়ে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাঁচ জেলায় পানিবন্দি ১১ লাখ মানুষ : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বুধবারের ‘দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদন’-এ জানানো হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও ফেনী জেলায় অতিবর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতায় অন্তত ১১ লাখ লোক পানিবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম জেলায়ই পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ৭২। অনেক এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানির নিচে রয়েছে রাস্তাঘাট। মূল সড়ক দিয়ে নৌকায় চলাচল করছে মানুষ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর