সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
ড. আহসান এইচ মনসুর

স্বর্ণ শিল্পের বিকাশে ট্যাক্স ও ভ্যাট সুবিধা প্রদান করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বর্ণ শিল্পের বিকাশে ট্যাক্স ও ভ্যাট সুবিধা প্রদান করতে হবে

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, গত ৫০ বছরে জুয়েলারি শিল্প নিয়ে সত্যিকার অর্থে ভালো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং এ ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কিছুটা বিমাতাসুলভ আচরণ আমরা করেছি। তিনি বলেন, স্বর্ণ শিল্পের বিকাশে অতি সম্প্রতি উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। এখন একটি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন করে ট্যাক্স ও ভ্যাট সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জুয়েলারি পণ্য বিদেশের বাজারে জনপ্রিয় করতে এর নান্দনিকতা ও আধুনিকতার ওপর গুরুত্বারোপসহ ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এফডিসি মিলনায়তনে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ভূমিকা’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা কলেজের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, রুহুল আমিন রাসেল, কাবেরী মৈত্রেয় ও রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করনে। আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের দেশের নীতিগত যে বিমাতাসুলভ আচরণ ছিল স্বর্ণ ইন্ডাস্ট্রির প্রতি, যার কারণে এ শিল্প একাবারেই বিকশিত হয়নি। আমাদের মনোভাব পরিবর্তন করার দরকার। এ খাতকে একটা ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে দেখতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ পেশ করেন। এর মধ্যে সোনা, সোনার অলংকার, রুপা বা রুপার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা। সোনার অলংকার রপ্তানি ও দেশি চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে অলংকার প্রস্তুত করার কাঁচামাল ও মেশিনারিজের ওপর বিশেষ শুল্ক ছাড়সহ পাঁচ বছরের জন্য কর অবকাশ প্রদান। নিম্নমানের অলংকার বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানকে কঠিন শাস্তি দেওয়া। চোরাচালানকৃত স্বর্ণ উদ্ধারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবিশেষকে স্বর্ণের বর্তমান বাজারমূল্যের ১০ শতাংশ পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা।

সর্বশেষ খবর