সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিএনপি : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন যত কাছে আসছে, মির্জা ফখরুলরা সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষের ওপর প্রভাব সৃষ্টি করতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং পরোক্ষভাবে তাদের হুমকি দিচ্ছে। তারা যতই মিথ্যাচার করুক না কেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি শাসনামলে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সেই ভয়াবহ উত্থানের কথা ভুলে যায়নি। সম্প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কিছু বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক ও বিভ্রান্তিকর’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপি সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে। বিএনপির রাজনীতি ধর্মকে পুঁজি করে এবং উগ্রসাম্প্রদায়িক অপশক্তির ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হয়ে আসছে। যার প্রমাণ ২০০১ পরবর্তী সময়েও পরিলক্ষিত হয়। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়, বাড়ি-ঘর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সে সময়কার মন্ত্রী-এমপিদের সরাসরি নির্দেশে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছিল বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের পাশবিক অত্যাচারের হাত থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউই রেহাই পায়নি। সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজার নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাজনীতি হলো পাকিস্তানি ভাবাদর্শের রাজনীতি; উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার বাহিনী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ভারতের বাবরি মসজিদের ঘটনার সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। অথচ সে সময় বিএনপির ক্যাডার বাহিনী ও তাদের উগ্র সাম্প্রদায়িক দোসরদের হামলায় রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয়, বাড়ি-ঘরের সুরক্ষা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার।

সর্বশেষ খবর