শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক্সপ্রেসওয়ে ২ সেপ্টেম্বর, টানেল ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসন ও বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ সহজীকরণের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন তিনটি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করবেন। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব তথ্য জানান। সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে প্রকল্প তিনটি। প্রকল্প তিনটির মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ ২ সেপ্টেম্বর, এমআরটি লাইন-৬ (মেট্রোরেল)-এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ অক্টোবরের মাঝামাঝি এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর। সেতুমন্ত্রী জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা আপাতত ঘণ্টায় ৬০ কিমি। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে থ্রি-হুইলার, বাইসাইকেল, পথচারী চলাচল করতে পারবে না। আপাতত মোটরসাইকেলও চলাচল করতে পারবে না। এ অংশের মূল লাইনের দৈর্ঘ্য ১১.৫ কিমি এবং র‌্যাম্পের দৈর্ঘ্য ১১ কিমি। র‌্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিমি। কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশে ওঠানামার জন্য মোট র‌্যাম্পের সংখ্যা ১৫টি। এয়ারপোর্ট অংশে দুটি, কুড়িল অংশে তিনটি, বনানী অংশে চারটি, মহাখালী অংশে তিনটি, বিজয় সরণি অংশে দুটি ও ফার্মগেটে একটি। এর মধ্যে ১৩টি র‌্যাম্প যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিক দেশের বৃহত্তম প্রকল্প। ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ করিডরের সড়কপথের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এ প্রকল্প। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা এলাকা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ-খিলগাঁও-কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। এ ছাড়া প্রকল্পটি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হলে ঢাকা ইপিজেড ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের যোগাযোগ সহজতর হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিমি। র‌্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিমি। এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৬৫ ভাগ। পুরো প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। সংবাদ সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরীসহ সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর