মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

নজরদারিতে এমটিএফইয়ে জড়িতরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইন ট্রেডিংয়ের নামে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এমটিএফইয়ের প্রতারণা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের প্রতারণা নিয়ে চলছে বিভিন্ন বিশ্লেষণ। এরই মধ্যে এমটিএফই নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, এমটিএফইয়ের ৪০০ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রয়েছে বাংলাদেশে। এই ৪০০ সিইওর বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা। তাদের আটক বা গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সাইবার ফুটপ্রিন্ট সংগ্রহ করছেন সংশ্লিষ্টরা। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি) সূত্রে জানা যায়, এমটিএফইয়ের প্রতারণার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ডিবি এবং সিআইডিও কাজ করছে। তাদের প্রাথমিক তদন্তে এমটিএফইয়ের বেশ কয়েকজন রিপ্রেজেনটেটিভ ও মার্কেটিংয়ের লোকজনের সন্ধান পাওয়া গেছে। মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি (যেমন বিট কয়েন) ট্রেডিং প্ল্যাটফরম এমটিএফইয়ের প্রতারণা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও তথ্য পেলেও এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা পাওয়া যায়নি। তবে মামলা না পেলেও এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ছিল বায়বীয়। তারা প্রতারণার জন্য কোনো পণ্যের ব্যবহার করেনি অন্য এমএলএম কোম্পানির মতো। তারা শুধু অ্যাপের মাধ্যমে এ প্রতারণা করেছে।

সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে এদের যারা রিপ্রেজেনটেটিভ বা মার্কেটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব। এ ছাড়া কেউ যদি অভিযোগ দেয় সে অভিযোগ গ্রহণ করে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’ ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, এমটিএফই নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। আমরাও অভিযুক্তদের বিষয়ে নজরদারি করছি।

সর্বশেষ খবর