বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে। আদালত ১২ সেপ্টেম্বর এর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান গতকাল এ আদেশ দেন। কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী এজলাসে মামলাটির বিচার চলছে।

আদালত সূত্র জানায়, এ মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এই দিন ধার্য করেন। এর আগে ১৯    মার্চ এই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে নাইকো দুর্নীতি মামলা করে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অন্যরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এর মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার এই কোম্পানিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

সর্বশেষ খবর