শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হারে শুরু সাকিবদের এশিয়া কাপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হারে শুরু সাকিবদের এশিয়া কাপ

তাসকিন আহমেদকে বাউন্ডারি মেরে খেলা শেষ করেন চারিথ আশালাঙ্কা। পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে আশালাঙ্কার ওই বাউন্ডারিতে এশিয়া কাপে নিজেদের সূচনা ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। হারের জন্য সাকিব, নাঈম, মুশফিক, তানজিদদের বাজে ব্যাটিংকে দোষারোপ করাই যায়। দ্বীপরাষ্ট্রের কাছে হেরে যাওয়ায় এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে পড়ার আশঙ্কায় সাকিব বাহিনী। অবশ্য সুপার ফোরে খেলার সম্ভাবনা টিকে আছে টাইগারদের। এজন্য ৩ সেপ্টেম্বর, লাহোরে হাশমতউল্লাহ শাহিদি, রশিদ খান, মুজিব উর রেহমানদের আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে। শুধু হারালেই হবে না, স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হবে আফগানিস্তানকেও। পাল্লেকেতে এর আগে একবার ওয়ানডে খেলেছিল টাইগাররা। ২০১৩ সালের ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতেছিল। ওই জয়ের রেকর্ড অনেকটা আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল সাকিবদের। এ ছাড়া দুই দলের সর্বশেষ সিরিজটিও বাংলাদেশ জিতেছে। নিকট অতীতের এমন পরিসংখ্যান নিয়ে গতকাল এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন সাকিবরা। দেশ ছাড়ার আগে গ্রুপপর্বে খেলার কথা জানিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক ও হেড কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে। গতকাল যে ব্যাটিং করেছেন টাইগার ব্যাটাররা, তাতে বিদায়ের শঙ্কা বেজে উঠছে। মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক। কিন্তু অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল, সেটা সতীর্থরা নিজেরাই প্রমাণ করে আসা-যাওয়ার লড়াইয়ে মেতে। ১৪৩ টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেক হয় তানজিদ সাকিবের। কিন্তু আলো ছড়াতে পারেননি অভিষেক ম্যাচে। শুধু তানজিদ নন, আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইমও ব্যর্থ হয়েছেন বড় ইনিংস খেলতে। অধিনায়ক সাকিব ৫, অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ১৩ রান করেন। দলের সবার ব্যর্থতার মাঝে একবার জীবন পেয়ে ৮৯ ঝকমকে ইনিংস খেলেন নাজমুল শান্ত। ১২২ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি বাউন্ডারি। নাজমুল শান্তের প্রত্যয়ী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায়। ম্যাচসেরা মাথিস পাথিরানা ৩২ রানের খরচে নেন ৪ উইকেট। টার্গেট ১৬৫। ওভারপ্রতি ৩.৩ রান। এমন সহজ টার্গেট ছুড়ে তাসকিন, শরিফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসানরা শুরু থেকে চড়াও হয়ে বোলিং করেন। তাদের সাঁড়াশি বোলিংয়ে একপর্যায়ে ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা।

সেখান থেকে সাদিরা সামারাবিক্রমা ও আশালাঙ্কা ৭৮ রান যোগ করে দলের জয় সহজ করেন। সামারাবিক্রমা ৫৪ রান করেন। আশালাঙ্কা অপরাজিত থাকেন ৬২ রানে। সাকিব ২৭ রানের খরচে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন. শরিফুল ও মেহেদি হাসান।

সর্বশেষ খবর