শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আরও বাড়ার আশা

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আশা করছি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আগে যা ছিল এ বছর আরও বাড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত করতে চান। মূলত কৃষি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও মোটরগাড়ি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান তারা। গতকাল সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

বৈঠকে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের (ইউএসবিবিসি) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবস, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অতুল কেশব, যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন রপ্তানি কাউন্সিল ও ইউএসবিবিসির বোর্ড সদস্য কেভিন রিওপক, মেটার দক্ষিণ এশিয়ার জননীতিবিষয়ক পরিচালক সারিম আজিজসহ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে কোন খাতে কী ধরনের করছাড় দেওয়া হবে, বৈঠকে সে বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশন দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মাসুদ সাদিক।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিল্প ও বিনিয়োগ খাতের প্রতিনিধি সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। তাদের কেউ ইলেকট্রনিক্স, কেউ বিদ্যুৎ খাত এবং কেউ বীমা খাতে কাজ করেন। তারা সবাই চাচ্ছেন বাংলাদেশে কী করে তাদের ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত করবেন। আমরা সেই সুযোগের কথা বলেছি তাদের । এখানে অনেক সুযোগ আছে। ব্যবসায়ীরা যে খাতেই বিনিয়োগ করুন না কেন, তারা লাভবান হবেন। এ দেশে বিদেশি বিনিয়োগ যে কোনো খাতেই আসুক না কেন, কোনোটা ব্যর্থ হয়েনি। মন্ত্রী বলেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’- এ ধারণাটা তারা যদি সম্প্রসারিত করেন, তাহলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে, যারা বিনিয়োগ করবেন তাদেরও ভালো হবে। এখন এ ধারণাটার মধ্য দিয়ে আমরা চাই এ দেশে দ্রুততার সঙ্গে কর্মসংস্থান খাতে উন্নয়ন করতে।

এ সময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেন, ইউএস প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিশেষ করে সয়াবিন উৎপাদন ও রপ্তানিতে বিনিয়োগ করতে চায়। এ ছাড়া ক্যাশলেস ট্রানজেকশন কোম্পানি ভিসা কিছু ক্ষেত্রে ইনসেনটিভ চেয়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল পেমেন্ট, মার্চেন্ট পেমেন্টে চায় কোম্পানিটি। এর আগে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক অংশীদারি আরও শক্তিশালী করতে অ্যাডভোকেসি এবং পক্ষগুলোর বাণিজ্যে যুক্ত হওয়ার ওপর জোর দিতে ২০২১ সালের ৬ মার্চ ইউএস চেম্বার অব কমার্স যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল চালু করেছে। কাউন্সিল উভয় দেশের পারস্পরিকভাবে লাভজনক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে উভয় দেশের সরকারকে সম্পৃক্ত এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে মার্কিন ব্যবসায়ীদের জন্য একটি প্ল্যাটফরম হিসেবে কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর