রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সরেজমিন

এক হাসপাতালেই মৃত্যু ১০২ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরেই ১০২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গতকালও এ হাসপাতালে মারা গেছেন দুজন। মৃত্যুর দিক দিয়ে সারা দেশের হাসপাতালগুলোর মধ্যে এই হাসপাতাল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৯ হাজার ৪৪ জন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ হাজার ৬৭৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গতকালও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২৬৩ জন। সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালটির তিনটি ফ্লোরজুড়ে রয়েছে ডেঙ্গু রোগী। তৃতীয় তলায় মহিলা ইউনিট এবং দশম ও এগারো তলায় রয়েছে পুরুষ ইউনিট। দশম তলায় গিয়ে দেখা গেল, বেডের পাশাপাশি ফ্লোরেও রয়েছে ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গুর ডেডিকেটেড এ হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছেই। ৫০০ বেডের এই হাসপাতালে বর্তমানে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ১ হাজার ১৬ জন রোগী। বেড সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়েই অনেক রোগীকে অবস্থান নিতে হয়েছে ফ্লোরে। পাঁচ দিন জ্বরের পর গত শুক্রবার হাসপাতালের মহিলা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন মাতুয়াইলের লামিয়া আকতার (২৭)। বৃহস্পতিবার ভর্তি হয়েছেন দক্ষিণ মান্ডার লাভলি আকতার (৩৫)। তারা জানালেন, মহিলা ইউনিটে বেশ কয়েকটি বেড ফাঁকা রয়েছে। তাই ভর্তি হওয়ার পরই বেড পাওয়া গেছে। হাসপাতাল থেকেই টেস্ট ফি ছাড়া সব ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে ঢাকা এসে অটোরিকশা চালানো আবদুর রাজ্জাক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পুরুষ ওয়ার্ডের ১১ তলায় চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। পুরুষ ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স তিলক রায় বলেন, হাসপাতালে এখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়তই কমছে। তাই চাপ সামলাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ১৩ তলা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে চারটি লিফট থাকলেও মাত্র দুটি সচল থাকতে দেখা গেছে। এর ফলে রোগীদের যাতায়াতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, এই হাসপাতালে সর্বোচ্চ ৬১০ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিল, যা এখন ২৬৩ জনে নেমে এসেছে। ৫০০ বেডের এই হাসপাতালে এখন চিকিৎধীন রয়েছেন ১ হাজার ১৬ জন, তবে এদের মধ্যে ৭৬৫ জনই অন্য রোগে আক্রান্ত। ডেঙ্গু ওয়ার্ডগুলোতে এখন রোগীর তেমন চাপ নেই। মাত্র দুটি লিফট সচল থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, চারটি লিফট রোটেশন করে চালানো হয়। তাই দুটি সচল থাকলে দুটি বন্ধ রাখতে হয়।

সর্বশেষ খবর