বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমির মালিক হতে পারবেন না : মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, উত্তরাধিকারসূত্রে হলেও একজন ব্যক্তি ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমির মালিক হতে পারবেন না। তবে সমবায় সমিতি, কোম্পানি, শিল্পকারখানাসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ আইন শিথিল করা হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমাকে অনেকেই বলেছিলেন এ আইনে হাত দেওয়াটা উচিত হবে কি না। এতে হাত দিলে হাত পুড়েও যেতে পারে। কারণ এটা খুব সেনসিটিভ।

দলিল যার, জমি তার অর্থাৎ দখলে থাকলেই হবে না, জমির দলিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও থাকতে হবে, এ বিধান রেখে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল ২০২৩’ পাস হয়। ওই আইন নিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে তিনটি বিল সংসদে পাস করলাম, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে বিলটি ছিল সেটি হলো ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন। যেটা অধিক আগ্রহের, দীর্ঘদিন ধরে দেশবাসী অধিক আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। অনেকে একটু হতাশ হয়ে গিয়েছিল, এটা মনে হয় আর আলোর মুখ দেখবে না। আল্লাহর অশেষ রহমত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান, সাহসিকতার কারণে আমরা জাতিকে একটি সুন্দর বিল উপহার দিতে সক্ষম হয়েছি। এটা আসলে খুবই প্রয়োজন ছিল।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, এ আইনে ব্যক্তিগতভাবে ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমির মালিক কেউ হতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধুর আমলে এটি ১০০ বিঘা ছিল। এরশাদ এসে ৬০ বিঘা করেছেন। কিন্তু অনুমতি নিয়ে কোনো কোম্পানি ৫০০ কিংবা ১ হাজার বিঘা জমিও নিতে পারবে। কার ৬০ বিঘার বেশি জমি আছে, তা সরকার কীভাবে জানবে, প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ-সংক্রান্ত ডেটাবেস আসছে। তখন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। দেশের যে কোনো জায়গায় জমি থাক না কেন, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ডেটাবেস দেখে বলা যাবে আপনার নামে কতটুকু জমি আছে। এমন না যে আপনি চট্টগ্রামে কিছু কিনলেন, আবার রংপুরে কিনলেন, এভাবে ফাঁকি দিলেন। তা পারবেন না, ডেটাবেসে সব চলে আসবে। সরকারিসহ রেলওয়ের অনেক জমি বেদখলে, এসব জমি উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে ভূমি সচিব খলিলুর রহমান বলেন, সময় পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমাদের রেকর্ড নিয়মিত হালনাগাদ হচ্ছে। প্রতি বছর জমি উদ্ধার হচ্ছে। সরকারি জমি সরকারিই থাকবে। ভাসমান কিছু লোক সরকারি জায়গায় বাস করেন। সেটা অস্থায়ী, স্থায়ী না। কারণ ওই জমি যতদিন সরকারের কাজে লাগবে না, ততদিন তারা থাকতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর