বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আপাতত দলের সঙ্গে সংলাপ নয় ইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আপাতত সংলাপ করার চিন্তা করছে না নির্বাচন কমিশন। তবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য দলগুলো চাইলে আবারও সংলাপ হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি। এদিকে আগামী ৪ অক্টোবর সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে ‘অবাধ ভোটাধিকার-প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালার    আয়োজন করছে কমিশন। বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মশালার বক্তব্য প্রজেক্টরের মাধ্যমে নিবন্ধিত দলগুলোর জেলা পর্যায়ের প্রতিনিধিদের শোনাবে নির্বাচন কমিশন। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইসি ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ বিষয়ে এক দিনের একটি কর্মশালা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। কর্মশালাটি আগামী ৪ অক্টোবর বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। এ কর্মশালা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার এবং জুম অ্যাপের মাধ্যমে সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করা হবে। অনুষ্ঠানটি জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সম্প্রচার এবং সংশ্লিষ্ট জেলায় বিদ্যমান নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের একজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন। কর্মশালায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার (ইসি), সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা অংশ নেবেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগ জনগণের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ মৌলিক মানবাধিকার। দীর্ঘ সময় ধরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় অনিয়ম ও কারচুপির বিভিন্ন মহলের অভিযোগসহ কালো টাকা ও পেশি শক্তির কারণে অবাধ ভোটাধিকার হরণ বা ব্যাহত হয় বলে অধিকাংশদের ধারণা। এটা কখনো প্রত্যাশিত হতে পারে না। এমন বিরূপ বাস্তবতাকে প্রতিহত করতে প্রার্থী তার স্বার্থে ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি বুথের জন্য একজন করে দক্ষ ও বিশ্বস্ত পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে থাকেন।’

তিনি বলেন, ‘এমন বাস্তবতার আলোকে ‘অবাধ ভোটাধিকার-প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকা’ বিষয়ে কর্মশালা আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ কর্মশালায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার, সাবেক জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ অংশ নেবেন।’

তিনি জানান, এতে কিছু প্রশ্ন/বিষয়ের ওপর আলোচনার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। তা হলো- ক) নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি রোধে প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টের ভূমিকা কী হতে পারে? খ) পোলিং এজেন্ট তার প্রার্থীর পক্ষে আইন ও বিধি অনুযায়ী কীভাবে দায়িত্ব পালন করে পোলিংকে স্বচ্ছতার রূপ দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে পারে? গ) নির্বাচনের ফলাফলে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটিয়ে কীভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করিয়ে আনতে পারেন? ঘ) প্রার্থী কী ধরনের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করবেন এবং কীভাবে তাকে দায়বদ্ধ করবেন? এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হলো- আলোচনার মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতকরণে প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকাকে স্পষ্ট করা এবং সর্বসাধারণ, বিশেষত ভোটার সাধারণ, রাজনীতিবিদ ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী-প্রার্থীদের গণমাধ্যমের বদান্যতায় তা জানানো।

 

সর্বশেষ খবর