শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

১৫ বছরে সম্পদ ও ভোগের বৈষম্য বেড়েছে : দেবপ্রিয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরমের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, গত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা ও পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, বাংলাদেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈষম্য শুধু সম্পদ কিংবা অর্থের নয়, এখানে ভোগ বৈষম্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ভোগের ক্ষেত্রে অগ্রগামী হতে পারেনি।  গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও ন্যায্যতার লক্ষ্যে নাগরিক এজেন্ডা : শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সামাজিক সুরক্ষা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক প্ল্যাটফরম আয়োজিত ব্রিফিংয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা এগিয়েছি সন্দেহ নেই। যে মানুষগুলো বিপন্ন অবস্থায় আছে, তাদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারিনি। উন্নয়নের মধ্যে ন্যায্যতা আনতে হবে। পিছিয়ে পড়া মানুষের হিস্সাকে সামনে আনতে হবে। উন্নয়নের ন্যায্যতা ফিরিয়ে আনাই হলো আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ। গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতাই পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে জায়গা দেয়। সবচেয়ে বড় ক্রিয়া ক্ষেত্র হলো নির্বাচন। নির্বাচনের অঙ্গীকারগুলো সামনে নিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত সমাজ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গেছে। সাংস্কৃতিক মান ও রাজনৈতিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তের বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ওই ভূমিকা ম্রিয়মাণ হয়ে গেছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে গত দেড় দশকের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা আমরা মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছি। আমাদের মনে হয়েছে, জাতীয় উন্নয়নের যে আখ্যান শুনি, তা কতটা সত্যি ও মজবুত তা বোঝা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডেন্টে যে সুবিধা ভোগ করছি, তা আস্তে আস্তে সংকীর্ণ হয়ে আসছে। যত সময় যাচ্ছে, সুবিধা ক্রমান্বয়ে হাতছাড়া হচ্ছে। যদি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আছে, সেখানে আমাদের শিশুদের কাজে লাগাতে পারব।

সর্বশেষ খবর