বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ক্যাডারদের কর্মবিরতি চলছে, অচলাবস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারদের ডাকা তিন দিনের কর্মবিরতি কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন গতকালও সারা দেশের সরকারি কলেজে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। হয়নি ক্লাস ও কোনো পরীক্ষা। ফলে শিক্ষার্থীরাও অনুপস্থিত ছিল। এ ছাড়া কর্মসূচির কারণে সরকারি কলেজের পাশাপাশি আলিয়া মাদরাসা, সরকারি টিটি কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর, সব শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি, নায়েম, ব্যানবেইসসহ শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট সব দফতর-অধিদফতরে নিয়োজিত শিক্ষা ক্যাডারের জনবল দাফতরিক কার্যক্রমে অংশ নেয়নি। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ব্যানারে শিক্ষা ক্যাডাররা এই কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন, অবস্থান কর্মসূচি এবং এক দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন। আজ কর্মবিরতি শেষে ফের আসতে পারে নতুন কর্মসূচি। এমনই আভাস দিয়েছেন শিক্ষা ক্যাডার নেতারা। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্যা গতকাল প্রতিবেদককে বলেন, দাবি আদায়ের ব্যাপারে এখনো কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সারা দেশের শিক্ষা ক্যাডারদের দাবি অবিলম্বে মেনে না নিলে ফের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, মাউশি, শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতরে গতকাল ক্যাডার কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও কর্মবিরতির কারণে দাফতরিক কার্যক্রমে অংশ নেননি।

কর্মবিরতির কারণে সারা দেশের সরকারি কলেজেও আসেননি ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষকরা কলেজে উপস্থিত হলেও কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেননি। সারা দেশ থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিরা শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতির খবর জানিয়েছেন। বগুড়া থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ক্যাডার বৈষম্য ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করছেন। এই কর্মবিরতির ফলে বগুড়ায় সরকারি ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ রয়েছে। গতকাল বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ চত্বরে কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে ১৮০ জন শিক্ষক অংশ নেন।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা স্তরে সারা দেশে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকের পদ সৃজন অপরিহার্য। বর্তমানে সরকারি কলেজসহ শিক্ষা প্রশাসনে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত ১৬ হাজার কর্মকর্তার বাইরে আরও ১২ হাজার ৪৪৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়। ৯ বছর আগের সেই প্রস্তাব আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি।

সর্বশেষ খবর