শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আওয়ামী লীগের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা সফররত মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধি দল। গতকাল বিকাল ৪টায় তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছালে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. ইনাম আহমেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে মার্কিন প্রাক- নির্বাচনী প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইউএস ইনস্টিটিউট ফর পিসের (ইইউএসআইপি) জেফরি ম্যাগডোনাল্ড, ডেন মার্কি এবং ইশা গুপ্তা।

ড. শাম্মী আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তারা কোনো প্রশ্ন করেননি, আমরাও কোনো উত্তর দিইনি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, উপমহাদেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কী হচ্ছে, এসব বিষয়ে বাংলাদেশের কী ভূমিকা, আওয়ামী লীগ কী চিন্তা করছে, এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ড. শাম্মী বলেন, তারা জানতে চেয়েছেন ভারত-চীনসহ এই উপমহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন? আমরা আমাদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, আমাদের জাতির পিতা যেটা দিয়ে গেছেন, সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়- এটিই তুলে ধরা হয়েছে। চীন এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। তারা নিজেরাও স্বীকার করেছেন, চীন একটি অর্থনৈতিক শক্তি, আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদার। তারা জানতে চান ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন। আমরা জানিয়েছি, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের দুর্দিন ১৯৭১ সালে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে ছিল, সেটাকে আমরা সম্মানের চোখে দেখি।

তিনি বলেন, মিয়ানমার আমাদের ওপর ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা চাপিয়ে দিয়েছে। তারপরও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি। শুধু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নয়, গ্লোবাল ভিলেজে আমরা আলোচনার মাধ্যমে সবগুলো সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। ওদের আগ্রহ ছিল ইন্দো-চায়না, ইন্দো-প্যাসিফিক রিলেশন নিয়ে একই সঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ছিল আলোচনার বিষয়। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বলেন, ভারতে হিন্দুত্ববাদের জাগরণ নিয়ে তারা একটি প্রশ্ন করেছেন। আমরা উত্তর দিয়েছি- আমরা কারও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা অন্য দেশের মতবাদকে সম্মান দিই। ভারতে কি হচ্ছে না হচ্ছে, চীনে কি হচ্ছে না হচ্ছে, এটি তাদের দেশের জনগণের বিষয়।

সর্বশেষ খবর