দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নভেম্বরেই ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ ঠিকঠাক আছে। গতকাল নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ইসি মো. আলমগীর বলেন, মিনিমাম ৪৫ দিন সময় ধরে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ঠিক কোন সপ্তাহে তা এখনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী তো আমাদের জাতীয় নির্বাচনে (অতীতে) মোতায়েন হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না, সেটাও তিনি (সিইসি) বলেছেন।’ ভোটের পরিবেশ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আমাদের তো দেখি সব ঠিকঠাক আছে। সংবিধানে ইসিকে দায়িত্ব দেওয়া আছে চলমান সংসদের মেয়াদপূর্তির পূর্বের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী ক্ষণগণনা করে আমরা যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করছি। এখন শুধু তফসিল ঘোষণা বাকি আছে। সবাই নির্বাচন চাচ্ছে। ৪৪টা দলের সবাই নির্বাচনের পক্ষে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন ভোটের আয়োজন করতে চায় জানুয়ারির শুরুতে। বিএনপির নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেটা তো রাজনৈতিক বিষয়। আমাদের সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা চাই সবাই নির্বাচনে আসবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করে আসছি। আগামীতেও সুষ্ঠু নির্বাচন করব।’

তফসিলের পর গ্রেফতার করা যাবে কি না এ বিষয়ে এক প্রশ্নে মো. আলমগীর গত ১২ অক্টোবরের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তফসিল ঘোষণার পরে কোনো ধরনের রাজনৈতিক হয়রানি যেন না হয়। তবে কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, যদি গ্রেফতারযোগ্য অভিযোগ থাকে অথবা আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করতে পারবে। ‘উনি (সিইসি) যেটা মিন করেছেন, রাজনৈতিক কারণে কাউকে যেন হয়রানি না করে; গ্রেফতার যদি করতেই হয় সেটা যেন তফসিলের আগেই করা হয়।’ এই নির্বাচন কমিশনার জানান, তফসিলের আগে মামলা নেই- এমন কাউকে গ্রেফতার করা হলে তাহলে তারা সেটা বিচার-বিশ্লেষণ করবেন। সেই হিসেবে সরকারের প্রতি কোনো বক্তব্য বা পরামর্শ থাকলে দেবেন।

বিদেশি পর্যবেক্ষকের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত : এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর জানান, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসার লক্ষ্যে আবেদনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সার্কভুক্ত নির্বাচন সংস্থাগুলোর কমিশনার বা ফেসবোসার সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ৩০ থেকে ৩৫ জনকে দাওয়াত দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের সব ব্যয় আমরা বহন করব। অন্য বিদেশি পর্যবেক্ষক যারা আসবে তাদের শুধু আমরা অনুমোদন দেব।’