মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচনি মালামাল আগাম যাচ্ছে মাঠে

গোলাম রাব্বানী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মালামাল কেনাকাটা, মুদ্রণসহ সংগ্রহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মালামাল কেনাকাটা শেষ হলেই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য নির্বাচনি মালামাল আগেই মাঠ পর্যায়ের অফিসে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসির ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, প্রতিটি জেলা নির্বাচন অফিস, প্রতিটি উপজেলা নির্বাচন অফিস এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় থানা নির্বাচন অফিসগুলোয় এসব মালামাল সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব অফিসের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা করছে ইসি। তাই ইসির মাঠ পর্যায়ের অফিসের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি দিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের সব অফিসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগেও চিঠি দিয়েছে ইসি। অন্যদিকে তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হলেই ছাপানো হবে ব্যালট পেপার। সেই ব্যালট পেপার কেন্দ্রে কখন পাঠানো হবে, সে বিষয়ে তফসিলের পর সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। তবে ইসি ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানোর চিন্তার কথা বললেও জনবল সংকটের কারণে তা আগের দিন পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসি-এসপিরা।

একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এবার নির্বাচনি মালামাল কেনাকাটা শেষ হলেই তা পাঠানো হবে ইসির মাঠ পর্যায়ের অফিসে। এ ছাড়া ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে পাঠানোর চিন্তা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আলাদা রুটে আলাদা গাড়িতে সকালে ব্যালট পাঠানো যায় কি না সে নিয়ে আলোচনাও চলছে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘ইতোমধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেহেতু নির্বাচনি মালামালগুলো স্থানীয়ভাবে এসব অফিসে রাখা হবে, সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জোরদার করাও প্রয়োজন। নির্বাচন সামনে রেখে এটা রুটিন কাজ।’

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন হবে। এ লক্ষ্যে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। তফসিল ঘোষণার আগেই সব ধরনের নির্বাচনি মালামাল কেনাকাটা, মুদ্রণসহ সংগ্রহ শেষ ধাপে রয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ৭ অক্টোবর আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান কর্মকর্তারাও। শনিবার বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয় ইসি। এ ধারাবাহিকতায় ভোট প্রস্তুতির মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দেওয়া হলো। এতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটার তালিকা, ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার ও বিভিন্ন প্রকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি মালামাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মাঠ পর্যায়ের ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, প্রতিটি জেলা নির্বাচন অফিস, প্রতিটি উপজেলা নির্বাচন অফিস এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় থানা নির্বাচন অফিসে সংরক্ষণ করা হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব অফিসের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়তে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে জনস্বার্থে ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মাঠ পর্যায়ের এসব অফিসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ জরুরি।

বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মাঠ পর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, জেলা নির্বাচন অফিস এবং উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্নের লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ইসির উপসচিব রাশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর