বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জিততে মরিয়া বাংলাদেশ

আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডস থেকে আত্মবিশ্বাসের রসদ নেবেন সাকিব, লিটনরা। দল দুটি গত এক সপ্তাহে অঘটন ঘটিয়েছে দুটি। রশিদ খান, মুজিব উর রেহমান, মোহাম্মদ নবীদের আফগানিস্তান ধসিয়ে দিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। আইসিসি সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডস থমকে দিয়েছে ‘চোকার্স’ খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা আজ কি পারবেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের ভারতকে ফের হারের লজ্জা দিতে? অপরূপ সুন্দর পুণে স্টেডিয়ামে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে বাংলাদেশ কি আজ পূর্ণশক্তির একাদশ পাবে? খেলবেন কি টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান? হেড কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে জানিয়েছেন, ‘সাকিবের জন্য ম্যাচের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সে এখন আগের চেয়ে সুস্থ আছে।’ ওপেনিং জুটিতে কি পরিবর্তন আসবে? আজ মরণ-বাঁচন ম্যাচে আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের জয় দুটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিচ্ছেন টাইগার হেড কোচ, ‘গত এক সপ্তাহ বিশ্বকাপে যে দুটি অঘটন ঘটেছে, সে ম্যাচ দুটিকে আমরা অনুপ্রেরণা হিসেবে নিচ্ছি। ক্রিকেটাররাও প্রস্তুত। আমরা তাদের সেভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছি।’ আফগানিস্তান ৬৮ রানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে আর নেদারল্যান্ডস ৩৮ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা। গতকাল হঠাৎ করেই গোধূলিবেলায় এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। আইটি শহর, সাংস্কৃতিক শহর, শিবাজি, ছত্রপতির শহর পুণের আবহাওয়া। অথচ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি ঘিরে টগবগ করে ফুটছে ভারতের নবম বৃহত্তম শহরটি। ঐতিহাসিক ম্যাচটি দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে মহাগুরুত্বপূর্ণ সাকিবদের জন্য। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে ম্যাচটি জিততেই হবে বাংলাদেশকে। জয়ের অন্য কোনো পথ নেই সাকিবদের। অবশ্য রোহিতের ভারত আছে বিপরীত অবস্থানে। ম্যাচটি হারলে ক্ষতি নেই স্বাগতিকদের। জিতলে সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হবে। তার পরও কোথায় যেন একটা বাধা রয়ে যাচ্ছে। স্বাগতিকদের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দুই দলের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান। গত চার ম্যাচের পরিসংখ্যানে স্পষ্টতই যোজন যোজন এগিয়ে বাংলাদেশ। চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে টাইগাররা। সর্বশেষটি এশিয়া কাপে। এ জয়গুলোই আত্মবিশ্বাসের রসদ জোগাচ্ছে ব্যাটিং নিয়ে ধুঁকতে থাকা সাকিবদের। সর্বশেষ চার ম্যাচে এগিয়ে টাইগাররা। কিন্তু মোট লড়াইয়ে এগিয়ে ভারত। ৩৯ ম্যাচের ৩১টিতে জিতেছেন রোহিতরা। বাংলাদেশের জয় আটটি। বিশ্বকাপে চার ম্যাচের তিনটিতে আবার জিতেছে ভারত। শুধু ২০০৭ সালে জিতেছিল টাইগারা। ওই ম্যাচে জোড়া হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব ও মুশফিক। এ ছাড়া ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে হেরেছেন সাকিবরা। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে ফের বিশ্বকাপে ফিরছে পুণে। ১৯৯৬ সালে এ শহরের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও কেনিয়া। ওই ম্যাচে জিতেছিল খর্বশক্তির কেনিয়া। সেই ম্যাচের ফলও আত্মবিশ্বাসী করতে পারে টাইগারদের। পুণের ব্যাটিংসহায়ক উইকেটে আজ ‘আন্ডারডগ’ বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে জয় শুধু আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাকি দুই ম্যাচে হার। পুণের এ স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত সাতটি ওয়ানডে হয়েছে। ১৪ ইনিংসের আটটিতে ৩০০-ঊর্ধ্ব স্কোর করেছে দলগুলো। যার চারটি স্বাগতিক ভারতের। সর্বোচ্চ স্কোর ভারতের, ৭ উইকেটে ৩৫৬। সর্বনিম্ন স্কোরও স্বাগতিকদের, ২৪০ রান। এসবের বিবেচনায় ম্যাচে লড়াই করতে সাকিব বাহিনীকে নিদেনপক্ষে ৩০০ রান যোগ করতে হবে স্কোর বোর্ডে। কেননা এ মাঠে ৩৫০ রান টপকে জয়ের রেকর্ড রয়েছে রোহিত বাহিনীর। উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিংসহায়ক। বাউন্ডারি সীমানা ছোট। ব্যাটাররা বিগ স্কোরিং শটস খেলতে মরিয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর