শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপির পরিণতি হবে ১০ ডিসেম্বরের মতো : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির পরিণতি হবে ১০ ডিসেম্বরের মতো : কাদের

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের ঘোষণা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি হবে ১০ ডিসেম্বরের মতো। ওই দিন (গত বছরের ১০ ডিসেম্বর) তারা গোলাপবাগ গরুর হাটে খাদে পড়ে গিয়েছিল। এবার কোথায় যাবে সেটা দেখার অপেক্ষা। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে পূজা চলাকালে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্ডপ ও বাড়িঘর পাহারা দিতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮ পূজামন্ডপ রয়েছে। পূজায় নিরাপত্তার দায়িত্বটা পুলিশের একার পক্ষে পালন করা সম্ভব নয়। পূজা পালনকালে কোনো প্রকার সহিংসতা যাতে না ঘটে, বাধাবিঘ্ন না আসে, সে ব্যাপারে আমাদের সবার উচিত তাদের পাশে থাকা। আমি সারা দেশের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও আমাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এই দুর্গোৎসবে সতর্ক পাহারা দিতে বলেছি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোটের সময় হিন্দুরা না হলে আমাদের চলে না। কিন্তু হিন্দুরা যখন বিপদে পড়বে, তখন আমরা তাদের পাশে থাকি না। এটা  তো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না। আমার ভোটের সময় তাদের প্রয়োজন; অথচ তাদের জীবনযাপনে, তাদের ধর্মীয় উৎসব পালনে আমাদের সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হবে, যারা এরকম ঘটনা ঘটায় তারা দুর্বৃত্ত। আমি এদের হিন্দু-মুসলমান বুঝি না। এদের পরিচয় এরা দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্ত মুসলমানদের মধ্যে নেই বলার উপায় নেই। বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা ঘুম থেকে উঠেই মিথ্যা কথা বলে। সত্য কথা কখন বলে? সত্য বলার মানসিকতা তারা হারিয়ে ফেলেছে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করেছে বিএনপি। এ ব্যবস্থা বাংলাদেশে প্রয়োগ করার বাস্তবতা নেই। আদালত সঠিকভাবে উপলব্ধি করে প্রয়োজনীয় বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নিয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে এনে ২০০১ ও ২০০৬ সালের পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশের মানুষ চায় না। আওয়ামী লীগের মধ্যেও কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করে বলে স্বীকার করেন ওবায়দুল কাদের। সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, পূজা উদ্?যাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, দফতর সম্পাদক মিলন কান্তি প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর