নাইজারের সামরিক জান্তা দাবি করেছে, বন্দিদশা থেকে পালাতে চেষ্টা করেছিলেন দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোম। কিন্তু তার সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।
গতকাল সামরিক জান্তা বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট তার পরিবারের সদস্য, বাবুর্চি ও নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তারা হেলিকপ্টারে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মুখপাত্র আর কোনো তথ্য দেননি। বাজোম এবং তার সঙ্গীদের এখন কোথায় রাখা হয়েছে- তাও স্পষ্ট করেনি জান্তা বাহিনী। তারা বলছে, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের শেষ দিকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের ক্ষমতা দখল করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গার্ডের সদস্যরা। নিজের প্রাসাদেই বন্দি হন প্রেসিডেন্ট বাজোম। পরে দেশটির সেনাবাহিনী ওই অভ্যুত্থানে সমর্থন দেয়। তারপর থেকে পরিবারের সদস্যসহ গৃহবন্দি আছেন বাজোম। আঞ্চলিক শক্তিগুলো বাজোমকে মুক্ত করে তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে নাইজারের জান্তা বাহিনীকে নানা চাপ প্রয়োগ ও হুমকি-ধমকি দিলেও তাদের দমাতে পারেনি। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) এমনকি সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকিও দিয়েছিল। যার জবাবে ওই হামলা প্রতিহত করতে প্রস্তুত থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিল নাইজারের সামরিক বাহিনী। এক খবরে বলা হয়েছে, বাজোমকে পালানোর চেষ্টায় সহযোগিতা করার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাজোমের এ ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের’ সমালোচনাও করেছে সামরিক বাহিনী।
