আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নভেম্বরের মাঝামাঝি বা তার আগে তফসিল আর আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন হবে। পছন্দ না হলে কারও জন্য ভোট আটকে থাকবে না। কেউ আসুক আর না আসুক আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে। মিস করলে পিছিয়ে পড়বেন। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ২৮ অক্টোবর বিএনপির ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অবরোধ আর দখলের হুমকি দিয়ে বিএনপির নির্বাচন বানচালের খায়েশ পূরণ হবে না। জ্বালাও-পোড়াওয়ের হুমকি আসছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে একজনই আছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালত বাদ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বাদ দেয়নি। যে জিনিস নেই, সেটি দাবি করছে বিএনপি। এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী রাজধানীতে চলাচল করা গণপরিবহনের অবস্থার সমালোচনা করে বলেন, জীর্ণ, মুড়ির টিন চলছে। গায়ে লেখা ‘আল্লাহর নামে চলিলাম’। আর যেতে যেতে পাশের আইল্যান্ডের ওপর...। মালিক সমিতির কাছে জানতে চাই, এসব গাড়ি কীভাবে চলে ঢাকা শহরে? আদালত ২২টি সড়কে ইজিবাইক, নছিমন-করিমন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি ভিজিটে গেলে ইজিবাইক চলাচল বন্ধ হয়, চলে এলেই আবার শুরু হয়ে যায়। নছিমন-করিমন ছোট যান। বন্ধ করতে গেলে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বাধা আসে। তারা বলেন, গরিব মানুষ যাবে কোথায়? ভোটের রাজনীতিতে কেউ ভোট নষ্ট করতে চায় না। তিনি আরও বলেন, সড়ক পরিবহন আইন করলাম। কিন্তু বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক। আইন আছে, প্রয়োগ নেই, এমন আইনের দরকার কী? ২৭টি লোড কন্ট্রোল স্টেশনের মধ্যে ১২টির কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ, কার্যকর তো হচ্ছে না। সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, মানুষ সুফল না পেলে ১২টা হয়ে লাভ কী?