সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পদত্যাগ না করলে সরকার পালানোর পথ পাবে না : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা  ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সরকার দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ভেবেছিলাম তারা জনগণের দাবি মেনে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তারা তা না করে জনগণের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। সরকার যতই ভয়ভীতি দেখাক পদত্যাগ না করলে পালানোর পথ পাবে না। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করতে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এক যৌথ সভায় মির্জা ফখরুল সভাপতিত্ব করেন। সংবাদ সম্মেলনে মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ২৮ অক্টোবর আমাদের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। সারা দেশের নেতা-কর্মীরা মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন। এ জন্য নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাদের থাকবে। আমরা কোনো নেতা-কর্মীকে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিইনি। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোথাও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন না, এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, বেআইনি সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি রসাতলে নিয়ে গেছে। তারা আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়। দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় সাজা দেওয়া শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ১৩৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কোনো নির্বাহী প্রধান বলতে পারেন না। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বিচারাধীন মামলা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে প্রমাণ হলো যে, আওয়ামী লীগ সরকার সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে ফরমায়েশি রায় দিতে নির্দেশ দিচ্ছে। বিএনপি নেতাদের সাজা দেওয়ার চক্রান্ত কার্যকর করছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার কেবল ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে। এমনকি আদালতকেও ব্যবহার করছে। মানুষ এখন এই সরকারকে দেখতে চায় না। তারা পরিবর্তন চায়। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপির দ্বারা কোথাও সহিংস ঘটনা ঘটেনি। তবুও তাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে মাত্র চার দিনেই ৪৮টি মামলা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের হুমকি দিচ্ছে। এটা চরম দুর্ভাগ্যজনক। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ, মহানগর উত্তর ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবের রহমান শামীম, শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর