শিরোনাম
সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপি-জামায়াত ফিরে এসেছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন। কানাডার আদালত এ দলকে ছয়বার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছেন। ২০১৩-১৪ সালে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। বিএনপি-জামায়াত আবারও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে।  গতকাল বিকালে ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে তারা রাজনীতির সন্ত্রাসী ধারা বাস্তবায়নে গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা তাদের ভয়ংকর রাজনীতির ধারা, পুরনো চেহারা ফিরে আসার জন্য সময় নিচ্ছিল। সময়মতোই তারা তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথ বেছে নিয়েছে। আজকে বিএনপি একইভাবে আসন্ন নির্বাচন ভ-ুল করতে আবার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে বেছে নিয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী নয় বলে রাজনৈতিক পরিবেশকে বিনষ্ট করছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা চ্যালেঞ্জ করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মানে দেশের বিচারব্যবস্থাকে তারা অপমান করেছে। গত দুই দিন তারা কী করে নাই? শনিবার নৃশংস হামলা চালিয়ে একজন পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে আগুন এগুলোই ছিল তারেক রহমানের টেকব্যাক। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির হামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হতাহতের চিত্র তুলে ধরেন তিনি। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ও নির্দেশদাতা নেতাদের বিচারের দাবি জানান। নির্বাচন পর্যন্ত সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের অপশক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক পাহারায় থাকার আহ্বান জানান। এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ডে থাকবে। আওয়ামী লীগ কারও সঙ্গে সংঘাতে যাবে না। গায়ে পড়ে সংঘাত কেন করব। আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। আমরা কোনো উসকানি দেব না। সংলাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনার পথ বিএনপি রুদ্ধ করে দিয়েছে। এখন আর তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো সুযোগ নেই। আগে সহিংসতার পথ পরিহার করুক বিএনপি। জামায়াতের সঙ্গে কোনো আঁতাত হয়েছে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাঘা বাঘা যুদ্ধাপরাধীদের সাজার পরও জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা হয়েছে কি না সেই প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আবদুস সবুর, মৃণাল কান্তি দাস, বিপ্লব বড়ুয়া, দেলোয়ার হোসেন, ড. সেলিম মাহমুদ, নাজিবুল্লাহ হিরু, ওয়াসিকা আয়েশা খান, সিরাজুল মোস্তফা, আবদুল আউয়াল শামীম, সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, রেমন্ড আরেং, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সানজিদা খানম, মারুফা আক্তার পপি, গোলাম কবির রাব্বানী চিনু, নির্মল চ্যাটার্জি প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর