সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইসরায়েলি হামলাকে মনে করায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসরায়েলি হামলাকে মনে করায়

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা হাসপাতাল, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে। হামলা করে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে, সেবিকা ও হাসপাতাল কর্মীরা আহত হয়েছেন। এখন গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে হামলা চালাচ্ছে, বিএনপির বর্বরোচিত হামলা সেই ঘটনায়ই মনে করিয়ে দেয়। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অগ্নিসংযোগ, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ এগুলোর দায় কি বিএনপি নেতারা এড়াতে পারেন? কেননা তারা মঞ্চে বসে থাকা অবস্থায় এ ঘটনাগুলো ঘটেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে মামলা হবে। পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার জন্য মামলা হবে। হাসপাতালে হামলার ঘটনায় মামলা হবে। গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায়ও মামলা হবে। কতটি মামলা হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মামলা তো শুরু হয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা মামলা দেবে। সাংবাদিকরা মামলা দেবে। পুলিশ হাসপাতাল মামলা দেবে। আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধান বিচারপতির বাড়ি আক্রমণ করা, বাড়িতে ঢুকে  গেছে। আমরা শনাক্ত করছি। যারা যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অবশ্যই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

যারা গাড়ি পুড়িয়েছে তাদের নামে মামলা হবে। পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, আরেকজন পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন, তিনিও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। দুজন আনসার সদস্য মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। শতাধিক পুলিশ সদস্য বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন, বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আনসার বাহিনীর সদস্যরাও হাসপাতালে রয়েছেন। সাংবাদিকদের আহত করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব সাংবাদিক আহত হয়েছেন তারা নিশ্চয়ই সোচ্চার হবেন এবং মামলা দেবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এসব নাশকতা করে, সহিংসতা বিস্তার করার জন্য ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। ২০১৪ সালে আমরা দেখেছি কীভাবে মানুষ পুড়িয়েছে। জনসাধারণকে রক্ষার জন্য পুলিশ বাহিনী ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। আহত হলো পুলিশ, ক্ষতিগ্রস্ত হলো মানুষ, আর হরতাল ডাকে বিএনপি। মন্ত্রী বলেন, আবার বিদেশ থেকে একজন এসে নাকি তাদের সমর্থন করছে। আমরা তার পরিচয় জানি না। একজন আমেরিকান, যার সঙ্গে নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরাসরি কথা হয়, বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে তিনি গোপন বৈঠক করেছেন। আমরা তাকেও জিজ্ঞাসা করি, তিনি কীভাবে এসে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে গোপনীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি কে? তিনি যদি এ ধরনের (জো বাইডেনের) উপদেষ্টা হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি কতখানি লঙ্ঘিত হয়েছে, আমাদের সেই প্রশ্ন রয়েছে।

সর্বশেষ খবর