মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলোচনার প্রশ্নই আসে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচনার প্রশ্নই আসে না

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের রূপ ধারণ করছে। তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না। গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু সপ্তম খ ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদসহ অন্য কর্মকর্তা ও গবেষকরা মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন আর রাজনৈতিক দলে নেই, বিএনপি এখন সন্ত্রাসীদের দলে। যারা রাষ্ট্রের বেদিমূলে আঘাত হানে, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালায় অর্থাৎ বিচার ব্যবস্থার ওপর হামলা চালায়, যারা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয়, ভাঙচুর করে, পুলিশ হত্যা করে, তারা কখনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না।

মন্ত্রী বলেন, যারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে, দেশের সংবিধান মানে, আইনব্যবস্থাকে মানে, বিচারব্যবস্থাকে মানে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি সারা দেশে হরতাল ডেকে সেই হরতালকে সফল করার জন্য আগের পুরনো ঘৃণ্য আগুনসন্ত্রাসের তা বে ফিরে গেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি স্পষ্টত এই নৈরাজ্য সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিন দিনের অবরোধ ডেকেছে। তাদের উদ্দেশ্য অবরোধ করা নয়, তারা জানে তাদের পক্ষে দেশে অবরোধ কার্যকর করা সম্ভবপর নয়। কিন্তু চোরাগোপ্তা হামলা, নৈরাজ্য সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে তারা অবরোধ ডেকেছে। যারা মানুষের ও সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেবে, ধ্বংস করে তারা চোর-ডাকাতের চেয়েও খারাপ। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধেও জনগণ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিএনপি ‘ভার্চুয়ালি’ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এতে প্রমাণিত হয় বিএনপি নেতারা কতটুকু ভীতু। ২৮ তারিখ কর্মীরা যাওয়ার আগে নেতারা পালিয়ে গেছে। নেতারা পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরাও পালিয়েছে। বিএনপি নেতারা সামনে আসতেই ভয় পায়, সে জন্য তারা ভার্চুয়ালি এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতার নিন্দা জানানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের এই নিন্দা সহিংসতা বন্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়ক। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে এই সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে তারা ভিসানীতি নিয়েও ভাববে। আমরা আশা করব, যারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, পুলিশ হত্যা করেছে, পুলিশ আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে, জনগণের সম্পত্তি পুড়িয়েছে, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সেই ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবে, আমরা দেখার অপেক্ষায় আছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর