বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডিসেম্বরে হবে নতুন মজুরি : বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে কোথাও সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামোয় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ ও আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী, বর্তমান সহসভাপতি শহিদ উল্লাহ আজিম এবং এস এম মান্নান কচিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নভেম্বরে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম নতুন মজুরি চূড়ান্ত করা হবে; যা আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু এখন অহেতুক আন্দোলনের নামে কারখানায় হামলা বা ভাঙচুর করা হচ্ছে। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করার জন্য বহিরাগতরা উসকানি দিচ্ছে। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় এরই মধ্যে দুজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিক ও কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানার মালিকরা শ্রম আইনের ১৩-এর ১ ধারায় কারখানা বন্ধ করতে পারবেন। কারখানা বন্ধ থাকাকালে শ্রমিকরা কোনো ধরনের বেতন-ভাতা পাবেন না। শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক হাসান বলেন, মজুরি নিয়ে সরকার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে সিদ্ধান্ত দেবে মালিকরা তা বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এ বিষয়টি কেন্দ্র করে প্রতি মুহূর্তে শিল্পাঞ্চলগুলোর পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং শিল্পের সুরক্ষার স্বার্থে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন মালিকরা। শ্রমিকদের উদ্দেশে ফারুক হাসান বলেন, আপনাদের অবদানেই পোশাকশিল্প বর্তমান অবস্থানে এসেছে। এমন কাজ করবেন না যাতে শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্রেতারা মুখ ঘুরিয়ে নিলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর আপনারা কর্মহীন হয়ে পড়বেন, যা কাম্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে ফারুক হাসান পোশাকশিল্প খাতে শ্রমিক হতাহত হওয়ার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং যেসব মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। ফারুক হাসান অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন ধরে বহিরাগতদের উসকানিতে কিছু পোশাক কারখানার শ্রমিক কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে এবং কারখানা ভাঙচুর করছে। এতে অনেক উদ্যোক্তা কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এটা অনভিপ্রেত। তবে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, বহিরাগতদের উসকানিতে পোশাক কারখানার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু লেদার কারখানা, রাসায়নিক গোডাউন, ফেব্রিকসের গোডাউন, দোকানপাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কত নির্ধারণ করা হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, গুজবে কান দেবেন না। মজুরি নির্ধারণের জন্য এখনো এক মাস বাকি আছে। ১ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের সভা আছে। কারও কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে কাজে ফিরে ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা বিধান করবেন, আমি শ্রমিকদের প্রতি এই আহ্বান জানাই। কারও ফাঁদে যেন তারা পা না দেন।

সর্বশেষ খবর