বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চিকিৎসকদের মধ্যেও আওয়ামী লীগ ঢুকেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিকিৎসকদের মধ্যেও আওয়ামী লীগ ঢুকেছে

নানা অনিয়মের পরও চিকিৎসকদের বদলি না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, চিকিৎসকদের মধ্যেও আওয়ামী লীগ ঢুকে গেছে। গতকাল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিল-২০২৩ এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘এত বিল পাস করে হবে কি? কোথাও জবাবদিহি নেই। কারও কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়া যায় না। আমরা শুধুই সংসদে কিছু আলোচনা করি। এগুলো কোনো কাজ নয়। একটু আগে আলোচনা হলো হাসপাতালে চিকিৎসা হয় না। মাননীয় স্পিকার আল্লাহ না করুক, আপনার কিছু হলে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক চলে যেতে পারবেন সরকারি খরচে। কিন্তু সাধারণ লোকেরা যাবে কোথায়? কুমিল্লা থেকে এক বাবা তার শিশুটাকে নিয়ে আসল অক্সিজেনের অভাবে। তারপর এ হাসপাতালে যায় অক্সিজেন নেই, ওই হাসপাতালে যায় অক্সিজেন নেই। কুমিল্লা থেকে তার বাবা নিয়ে এসেছে স্কুটি চালিয়ে। শিশু হাসপাতাল বলে সিট নেই। বাইরে থেকে আনসার বলে দিল ওই হাসপাতালে যান। পরে বাচ্চাটি মারা গেল। সাংবাদিক গিয়ে দেখল আটটি সিট খালি। চিকিৎসকরা রোগী এলে বলবে সিট নেই, তারপর ওই চিকিৎসক তার হাসপাতালে রোগী পাঠিয়ে দেবে। আমি সংসদে বললাম, আজ পর্যন্ত কি কোনো চিকিৎসককে বদলি করতে পেরেছেন? পারবেন না। কারণ চিকিৎসকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ঢুকে গেছে। চিকিৎসকদের মধ্যেও আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ।

হায়রে স্বাধীনতা, কি চমৎকার এটা শব্দ আমরা এনেছিলাম। নামের আগে স্বাধীনতা লাগিয়ে দিলে এ দেশে আর কোথাও কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। শুধু লিখবেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, স্বাধীনতা হকার্স পরিষদ, স্বাধীনতার সংসদ হয়ে গেল।’

ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা হয় না। গেলেই বলে ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চলে যাও। সেখান থেকে বলে ঢাকা চলে যাও। একটা মেডিকেল কলেজ কত সামলাবে। পিজি হাসপাতাল কত সামলাবে? কিন্তু প্রাইভেট হাসপাতালে গেলে তো লাখ লাখ টাকা লাগে। গরিবকে তো কেউ টাকা দেয় না।’

সর্বশেষ খবর