মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরে বিক্ষোভ অবরোধ অব্যাহত

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে গতকালও শ্রমিকরা বিক্ষোভ এবং মহাসড়ক অবরোধ করেছে। এ সময় তারা টায়ারসহ বিভিন্ন ব্যানার ও কাঠে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এতে নারীসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর, জরুন ও কোনাবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গাজীপুরের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম ও স্থানীয়রা জানান, ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষের মুখে বন্ধ করে দেওয়া কাশিমপুর, হাতিমারা, জিতার মোড়, জরুন ও কোনাবাড়ী এলাকার বেশির ভাগ কারখানা গতকাল সকাল হতে খুলে দেওয়া হয়। এতে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে দুপুরে খাবারের বিরতির পর কারখানায় ফিরে কাজে যোগ না দিয়ে হঠাৎ কর্মবিরতি এবং বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে এলে তাদের সঙ্গে আশপাশের আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা যোগ দেয়। পরে মিছিল নিয়ে বিসিক এলাকাসহ কাশিমপুর, হাতিমারা, জরুন ও কোনাবাড়ী এলাকা প্রদক্ষিণ করে। আন্দোলনরত শ্রমিকরা কোনাবাড়ী-কাশিমপুর সড়কের জরুন থেকে জিতার মোড় এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে। এ সময় তারা টায়ারসহ আশপাশের এলাকা হতে পরিত্যক্ত বিভিন্ন ব্যানার ও কাঠ কুড়িয়ে সড়কে সেগুলোতে অগ্নিসংযোগ এবং বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কের ওপর থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় নারীসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। পরে শ্রমিকরা কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়ায় পিছু হটে। কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার দুপুরের খাবারের বিরতির পর কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ করেছে। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা দুপুরের পর হতে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর