সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আগামী নির্বাচন সুখময় হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী নির্বাচন সুখময় হবে না

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, আগামী নির্বাচন সুখময় হবে না। বিএনপি হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে যা শুরু করেছে, সেটি কোনো সমাধান না। গাড়িঘোড়া জ্বালাও-পোড়াও করে কোনো সমাধান হবে না এবং গণহারে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেও এর সমাধান করা যাবে না। সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করতে পারে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের প্রথম কনভেনশনে তিনি এ কথা বলেন। রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি জানি না ভারতের সঙ্গে আলোচনার পর আমেরিকা সর্বশেষ কোন অবস্থান গ্রহণ করবে। বিএনপি অবরোধ দিচ্ছে, হরতাল দিচ্ছে। এ হরতাল-অবরোধ হচ্ছে কি না, সেটা আপনারা ভালো জানেন। যদিও ২০১৪ সালের মতো পরিস্থিতি আজকে নেই, তারপরেও আমি বলব, এই নির্বাচন সুখময় হবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, আগামী বছর ৩২টি দেশে নির্বাচন আছে। আমেরিকার নজর কেন শুধু বাংলাদেশের দিকে? যেখানে পাকিস্তানের ইমরান খান জেলে আর আগামী বছর পাকিস্তানের নির্বাচন, সেখানে আমেরিকার কোনো কথা নেই। তাদের সব চিন্তা বাংলাদেশ নিয়ে। আমেরিকার লক্ষ্য শুধু সেন্টমার্টিন দখল করা না, আরও বড় কিছুর আশায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।

দেশের চলমান রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, জাতীয় সংসদে এখন আর গণমানুষের কথা হয় না। এটি এলিট ব্যবসায়ীদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। রাজনীতিতে পুঁজিবাদী বুর্জোয়া শ্রেণির দৌরাত্ম্য বেড়েছে। রাজনীতি এখন সামরিক-বেসামরিক-আমলা আর ধনী গোষ্ঠীর আওতাভুক্ত। এটিকে বলে অলিগারকি। এর বাইরে গিয়ে, এদের স্বার্থ রক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, সংসদে ধনিক শ্রেণির দৌরাত্ম্যের কারণে বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। বারবার সিন্ডিকেটের কথা উঠে আসছে। কিন্তু এই ধনিক শ্রেণির জন্য সিন্ডিকেটের গোড়ায় হাত দেওয়া যাচ্ছে না। যেখানে গোড়ায় গলদ সেখানে মুখে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার কথা তুলে লাভ নেই।

রাশেদ খান বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের জাতীয় সংসদের এক ঘণ্টার মধ্যে ৩ মিনিট শুধু দেশের মানুষের কথা হয়। বাকি সময় শুধু চলে নেত্রী বন্দনা আর নেত্রী নিন্দা। সত্যি সত্যি সংসদ এলিট ব্যবসায়ীদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। শ্রমিকদের মজুরি থেকে শুরু করে সাইবার সিকিউরিটি আইন- চাইলেই সহজে যে কোনো আইন পাস করা যায়। কত সহজে এক একটি আইন পাস হয়ে যাচ্ছে। সমালোচনার কেউ নেই। কথা বলার অবস্থা নেই।

অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, দেশ এখন ক্রান্তিলগ্নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সরকারদলীয় মন্ত্রীরা বলেন, সিন্ডিকেট কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না। দেশের রাজনীতিতেও এখন সিন্ডিকেট রয়েছে। বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য মাজহারুল হকসহ অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর