মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাণিজ্য হুমকিতে পড়ে এমন ব্যবস্থা না নেওয়ার অনুরোধ বিজিএমইএর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য হুমকিতে পড়ার মতো কোনো ব্যবস্থা না নিতে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। গত রবিবার ‘শ্রমিকদের টেকসই জীবনযাপন ও কল্যাণ’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় বিজিএমইএ।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরান্ডাম’ স্মারকে স্বাক্ষর করা হয়, যাতে কর্মীর ক্ষমতায়ন, অধিকার ও বিশ্বব্যাপী চলমান শ্রম আন্দোলনের সঙ্গে উচ্চ শ্রমমানের বিষয় রয়েছে, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও প্রয়োগের দিক থেকে স্বতন্ত্র বলে মনে করছেন বংলাদেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। যেসব দেশ শ্রমিকের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে, সেসব দেশে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞারও হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বিষয়টিও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়েছেন বিজিএমইএর নেতারা। এর আলোকে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা বিশ্বসম্প্রদায়কে এই সত্যটি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করব যে, কেবল গতানুগতিক জনতুষ্টির দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে শিল্পকে বিচার করা উচিত হবে না। বাণিজ্যকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়, এমন ব্যবস্থা নেওয়াও উচিত হবে না।’ ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা অবশ্যই যে কোনো বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রশংসা করি, যা আমাদের ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। আমরা এমন যে কোনো পরিবর্তন মেনে নিতে প্রস্তুত।’ বিজিএমইএর সভাপতি সংগঠনের সব সদস্য পোশাক মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সবার কাছে শ্রমিক সম্প্রদায় ও পরিবেশের প্রতি আরও অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। আমাদের বলা হয়েছে বলে তা করতে হবে, তা নয়। বরং নিজেদের সমৃদ্ধির জন্য আমাদের আরও বেশি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।’ ফারুক হাসান বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ইস্যুতে সংঘটিত শ্রম অসন্তোষ আবার বিশ্ববাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দুঃখজনক হলো শ্রমিকদের কল্যাণে আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও অঙ্গীকার থাকা সত্ত্বেও অবৈধ ধর্মঘট ও বিক্ষোভ এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যার পেছনে কোনো যুক্তি নেই। ঘটনাগুলো কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না।’ গার্মেন্টস শিল্প মালিকদের উদ্দেশে ফারুক হাসান বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ইউরোপীয় কমিশন বাংলাদেশের শ্রমের মান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ১২-১৬ নভেম্বর ২০২৩ সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ দলটি বাংলাদেশ সফর করেছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ সরকার একটি শ্রম পথনকশা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বাস্তবায়নের জন্য সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

 

সর্বশেষ খবর