বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপির ২০ বছরের কার্যালয় এখন নৌকার নির্বাচনি অফিস

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

বিএনপির ২০ বছরের কার্যালয় এখন নৌকার নির্বাচনি অফিস

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয় এখন নৌকার নির্বাচনি অফিস। সেখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) নির্বাচনি প্রধান কার্যালয় লেখা সাইনবোর্ড ওঠানো হয়। গতকাল রাজাপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহিম হোসেন ও বর্তমান রাজাপুর শহর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রমজান মৃধা সাইনবোর্ডটি উঠান।

এদিকে ২০ বছরের বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে নৌকার নির্বাচনী অফিস করায় উপজেলার সব বিএনপি নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এক সময়ে যেই নেতার কারণে গর্বে বুক ভরে যেত আজ সেই নেতাকেই বেইমান, মিরজাফর, খড়কুটাসহ বিভিন্ন উপাধি দিচ্ছে বিএনপি কর্মীরা।

জানা যায়, দক্ষিণ অঞ্চলের বিএনপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। তিনি সেখান থেকে ধানের শীষ প্রতীকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে নির্বাচিত হলে তাকে প্রথমে আইন ও পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রীও করা হয়। রাজাপুর বাইপাস মোড় সড়কের পাশে তার কেনা জমিতে ওই দুই তলা ভবনে ২০০৩ সাল থেকে উপজেলা বিএনপির স্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ৩০ নভেম্বর ওই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন রাজাপুর-কাঁঠালিয়া উপজেলায় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন জমা দিলেও এক ঘণ্টা পর নাটকীয়ভাবে শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে অনলাইনে নৌকার মনোনয়ন জমা দেন। এরপরই শুরু হয় আলোচনা গুঞ্জন। এরপর সন্ধ্যায় রাজাপুর উপজেলা বাইপাস মোড়ের শাহজাহান ওমরের মালিকানাধীন ভবন থেকে বিএনপির সাইনবোর্ড ব্যানার সরিয়ে নেওয়া হয়। গতকাল সেখানে নৌকার নির্বাচনী সাইনবোর্ড উঠানো হয়।

রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করা ভবনটি শাহজাহান ওমরের ব্যক্তিগত জায়গায় তার অর্থে নির্মাণ করা। 

রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খায়রুল আলম সরফরাজ বলেন, তিনি যখন ঝালকাঠিতে আসছেন তখন আমাকে বলছেন তার ওই অফিস রাজাপুর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হিসেবে ব্যবহার করবেন।  দীর্ঘ ২০ বছর ওই ভবনটি বিএনপির প্রধান কার্যালয় হিসেবে ছিল। এখন থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় হিসেবে চলবে। এ বিষয়ে জানার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সর্বশেষ খবর