বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথম দিনে ৪২ জনের আপিল

আওয়ামী লীগের প্রার্থীশূন্য ৪ স্বতন্ত্র বাতিল ৪২৩, জাতীয় পার্টির ৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথম দিনে ৪২ জনের আপিল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪২৫ জন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী শূন্য চার আসনে। জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩০ জনের। বাতিল ৭৩১ প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়ন ফিরে পেতে ৪২ জন আপিল করেছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আবেদন পড়েছে ২৬টি। মনোনয়ন বাতিল হওয়া বেশির ভাগের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে জটিলতা ছিল। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব আবেদন জমা পড়ে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে বেশি আবেদন এসেছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে মোট ৩২৭ জন মনোনয়ন দাখিল

করেছেন। এর মধ্যে ৮৪ জনের বাতিল হয়েছে। এদিকে অবৈধ ঘোষিত প্রার্থীদের অধিকাংশের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পেছনে কারণ এক পার্সেন্ট ভোটারের সমর্থন আদায় নিয়ে সমস্যা। প্রার্থীরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের এ শর্ত বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশ সংবিধানে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা বলা হলেও নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষরিত আবেদন জমা দিতে বলেছে। এতে ভোটের আগেই ভোটারের সমর্থন ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে সোমবার। গতকাল (মঙ্গলবার) ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে আপিল গ্রহণ; চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে নির্বাচন ভবনে আপিল আবেদন করা যাবে। যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে; তারা ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। ১০ ডিসেম্বর থেকে আপিল শুনানি শুরু হবে। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আপিল দায়ের, শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য তৈরি অস্থায়ী ১০টি বুথ পরিদর্শন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসি বলেন, নমিনেশন সাবমিশনের পর সংক্ষুব্ধ যারা, তারা আপিল করতে পারেন। আমাদের যারা রিটার্নিং অফিসার আছেন তারা পরীক্ষা করে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। কিছু কিছু প্রত্যাখ্যানও হয়। যারা প্রত্যাখ্যাত হন ও যাদের নমিনেশন পেপার গ্রহণ করা হয়, দুটোর বিরুদ্ধেই কিন্তু আপিল করা যায়। এক্সসেপ্টেশন অ্যান্ড রিজেক্টশন, আপিল করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন যে কেউ।

প্রার্থিতা ফিরে পেতে রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করতে এসেছিলেন কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান। গতকাল বিকালে নির্বাচন ভবনে আপিল শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। তবে কার ষড়যন্ত্রের শিকার তা বলব না।’ হলফনামায় ত্রুটি থাকায় নাসিরুলের ফরম বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এদিকে পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, আমারই ফল্ট (ভুল) ছিল। কারও ষড়যন্ত্রের কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। ডলি সায়ন্তনী বলেন, আমার ছোট একটা ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলা ছিল, যেটা আমার নলেজে ছিল না। বাচ্চা বাইরে পড়াশোনা করে সে জন্য দেশের বাইরে যাওয়া-আসা করতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের অ্যামাউন্ট পরিশোধ করে ইসিতে এসেছি।

সর্বশেষ খবর