বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই দিনে ইসিতে ১৮৩ জনের আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনে ১৪১ জন আপিল আবেদন করেছেন। এ নিয়ে মোট আপিলকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৩ জন। ইসি কর্মকর্তারা জানান, গতকাল ঢাকা অঞ্চলে ২৩, কুমিল্লার ১৬, চট্টগ্রামের ৯, ফরিদপুরের ৬, সিলেটের ৪, ময়মনসিংহের ১৯, বরিশালের ৬, খুলনার ১৮, রাজশাহীর ২৬ ও রংপুর অঞ্চলের ১৪ জন আপিল আবেদন করেছেন।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার  দেবনাথ জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল ২ হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ। আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। এদিকে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্র বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক। গতকাল জাহিদ ফারুকের পক্ষে তার মনোনয়নপত্রের সমর্থনকারী কেবিএস আহমেদ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এ আপিল করেন। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের যে বিধান রয়েছে, সেটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন নেত্রকোনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন।  ভোটারদের সমর্থনমূলক এই স্বাক্ষর তালিকায় গরমিলের অভিযোগেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তাতে ‘খানিকটা ক্ষুব্ধ’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেছেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট থেকে দূরে রাখার কৌশলের অংশ এই বিধান। এটা পরিবর্তন করা উচিত।’ প্রার্থিতা বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গতকাল নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন অধ্যাপক আনোয়ার। মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত প্রার্থী ও কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আপিল আবেদন জমা দেওয়ার পর মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পাবেন এমন প্রত্যাশা করে ডলি সায়ন্তনী বলেন, আশা করি আমার ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত যে ভুল হয়েছে সেটি নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরিয়ে দেবেন।

সর্বশেষ খবর