শিরোনাম
শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিজয়ের খবর দেওয়া হয় কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজয়ের খবর দেওয়া হয় কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুকে

পাকিস্তানে কারাবন্দি অবস্থায় দেশ হানাদার সেনামুক্ত হওয়ার খবর পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু লায়ালপুর কারাগারে ডিআইজি প্রিজন আবদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে তিনিই নিয়াজির আত্মসমপর্ণের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। ডিআইজি রহমান কারাগারে বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়ি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত ১টা ৩০ মিনিটে গ্রেফতার করে বঙ্গবন্ধুকে নেওয়া হয় ফ্ল্যাগস্টাফ হাউসে, সেখান থেকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে বিমানে করাচি। করাচি থেকে বঙ্গবন্ধুকে নেওয়া হয় লাহোরের ৮০ মাইল দূরের লায়ালপুর শহরের কারাগারে। এরপর শুরু প্রহসনের বিচার। পাকিস্তানের সামরিক আদালত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। বিচার শেষে তাঁকে নেওয়া হয় মিয়ানওয়ালি জেলে। মিয়ানওয়ালি জেলে ডিআইজি আবদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। মিয়ানওয়ালি জেনারেল নিয়াজির জন্মস্থান। ডিআইজি আবদুর রহমান ১৬ ডিসেম্বরের পর বঙ্গবন্ধুকে বলেন, কারাগারের ভিতরের অবস্থা খুব খারাপ। জেনারেল নিয়াজি ঢাকায় আত্মসমর্পণ করেছেন। এটা মিয়ানওয়ালিবাসীর জন্য খুব অপমানজনক, অসম্মানজনক। তারা প্রতিশোধের কথা ভাবছে। ডিআইজি রহমান মিয়ানওয়ালি জেল থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গেলেন ‘চশমাব্যারাজ’-এর একটি বাংলোয়। ড. কামাল হোসেনের এক সাক্ষাৎকার থেকেও এমন তথ্য জানা যায়। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের দেখা হয় ২৮ ডিসেম্বর। সে সময় বঙ্গবন্ধু তাঁকে জানান, জেলে বসেই তিনি বিজয়ের খবর পান। জাতির পিতাকে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি ভোরে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। সেদিনই বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে একই বিমানে তুলে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তাঁরা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। পরদিন ৯ জানুয়ারি রাতে দেশের পথে যাত্রা করেন বঙ্গবন্ধু। ১০ জানুয়ারি ঢাকার পত্রপত্রিকায় শিরোনাম হয়- ‘ঐ মহামানব আসে’। সকালে তিনি নামেন দিল্লিতে। বেলা ১টা ৪১ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় পৌঁছান। তাঁকে একনজর দেখতে মানুষের ঢল নামে।

সর্বশেষ খবর