ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে যারা বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছে তারা ভুলে যাচ্ছে- বাংলাদেশ এখন ভীতু দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন আর বহিরাগত শক্তিকে ভয় পাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। বাংলাদেশের উচিত নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজের পক্ষ নেওয়া।
গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামী দশকগুলোতে এ অঞ্চল ও বাইরে এর অবস্থান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস। সংসদ নির্বাচনের আগে যে সব নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের এই স্বনাম খ্যাত কলামিস্ট-সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ বলেন, ভয় দেখালেই যে আমি (বাংলাদেশ) ভয় পাব, তা ভাবা ঠিক হবে না। বাংলাদেশ এখন আর বহিরাগত শক্তিকে ভয় পাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। বিষয়টি এখন আর কাজ করে না। এম জে আকবর বলেন, বাংলাদেশের প্রতি কিছু মনোযোগের কারণ হলো দেশটির প্রাসঙ্গিকতা। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এশিয়ার উদীয়মান শক্তি। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘জাতির দ্বিতীয় মুক্তির নেতা ও বিজয়ী’ হিসেবে সম্মানিত করা এবং তা উদযাপন করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে শুধু উন্নয়নের দিকেই নয়, আধুনিকতার দিকে নিয়ে গেছেন, যার চারটি মাত্রা রয়েছে, সবগুলো মাত্রাতেই তিনি কাজ করেছেন। ভারতের প্রথিতযশা এই সাংবাদিক বলেন, গণতন্ত্র ও সকল বিশ্বাসের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো দেশই আধুনিক জাতি হতে পারে না। প্রতিটি বিশ্বাসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হলো অন্তর্ভুক্ত জাতীয়তাবাদ। প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) অধিকারকে কাগজে-কলম থেকে বাস্তবতায় পরিণত করেছেন। লিঙ্গ সমতা ও দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ছাড়া কেউ আধুনিক জাতি হতে পারবে না। বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিয়ে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই জনগণ শেখ হাসিনাকে বারবার নির্বাচিত করেছে। গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার চেষ্টায় লিপ্ত শক্তির কথাও উল্লেখ করে এম জে আকবর বলেন, স্বাধীনতা বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি, বরং বাংলাদেশ তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানানো উচিত। যা সমগ্র বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারে। বাংলাদেশের উচিত নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজের পক্ষ নেওয়া।
