শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই সুনাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই সুনাম

আওয়ামী লীগকে সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, এখনো সময় আছে ৭ জানুয়ারি অনেক দূরে। আপনারা ভাবুন, আলোচনায় বসুন। তিনি বলেন, যেভাবে বানরের পিঠা ভাগের নির্বাচনের আয়োজন তাতে নির্বাচনের আগেই সব সিটের ফলাফল নির্ধারণ করে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, অনুরোধ করব এখনো সময় আছে এই অপবাদ থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনারা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। এতে বিএনপির নয়, সুনাম আওয়ামী লীগেরই হবে। মঈন খান গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ। বক্তৃতা করেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমি গাজী, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, সাংবাদিক নেতা বাকের হোসেন, কবি আবদুল হাই শিকদার, কাদের গণি চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন। মঈন খান বলেন, তার দল সারা দেশে একটি তামাশার নির্বাচন বর্জন করেছে। কিন্তু নির্বাচন বর্জন করেনি। আজকের পরিবেশ পরিস্থিতি অত্যন্ত দুরূহ হওয়া সত্ত্বেও বিএফইউজে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারায় তারা প্রশংসা পাবে। তিনি বলেন, আমরা সরকারের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই যে, এই চরম পরিস্থিতির মধ্যেও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। মঈন খান বলেন, মিডিয়ার হাতে বন্দুক নাই, টিয়ারগ্যাস নাই, সাউন্ড গ্রেনেড নাই। কিন্তু তাদের হাতে যে জিনিসটি আছে, সেটি হচ্ছে কলম। আজকে আধুনিক বিশ্বে একটি দেশের সরকার যত শক্তিশালী হোক- সেটাকে কিন্তু মিডিয়া ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে পারে। এটার জন্য বন্দুকের দরকার হয় না। বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকের যে পরিবেশ পরিস্থিতি সেখানে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে গেছে। সরকার সংবাদপত্রের টুঁটি চেপে ধরে আছে, বলছে, তোমরা কথা বলতে পারবে না। তিনি জানান, অত্যন্ত আহত হৃদয় নিয়ে এ অনুষ্ঠানে এসেছেন। তিনি বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। বিএনপি সাংবাদিক বা আওয়ামী লীগ সাংবাদিক বলে বিশ্বাস করি না। বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন, সরকার তাদের ক্ষমতা দীর্ঘ করার জন্য বা চিরস্থায়ী করার জন্য জাতির মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছে। এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছু হতে পারে না।

সর্বশেষ খবর