বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
কূটনীতিকদের সরকারের ব্রিফিং

সব দেশের সঙ্গে ভালো সহযোগিতা ও অংশীদারির প্রত্যাশা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

নির্বাচন শেষে দেশে দায়িত্বপালনরত বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেছে সরকার। মিট অ্যান্ড গ্রিট শীর্ষক এই অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে জনগণ ভোট দিয়েছে এটাই যথেষ্ট। এ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মন্তব্যের বিষয়ে সরকার চিন্তিত নয়। বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যে অংশীদারি রয়েছে, তা সদ্য নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে অব্যাহত থাকবে। গতকাল ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিদেশি কূটনীতিকদের এই ব্রিফিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং রাশিয়া, সুইডেন, জার্মানি, ফিলিস্তিন, সুইজারল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রায় ৫০ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

ড. মোমেন বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য) বলেছে যে, নির্বাচনের আগে কিছু সংঘাত হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্ক আছে, সেটা বহাল রাখবে। তবে তারা মানবাধিকারের যে বিষয়টির কথা বলেছে, সেটা ডায়নামিক ইস্যু। এগুলোর কোনো শেষ নেই। সরকার এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল কিনা, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা তা দেখেছেন। বাংলাদেশের বহু নির্বাচন দেখেছি। আমার মনে হয়, এবারের নির্বাচন আদর্শ নির্বাচন। তিনি বলেন, নতুন বছরে সব দেশের সঙ্গে ভালো সহযোগিতা ও অংশীদারি প্রত্যাশা করছি। এ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে নিজস্ব লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।

অনুষ্ঠানে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কি বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলাপ করব। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করা হবে। জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে আমরা খুশি। বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে নতুন বছরে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে জার্মানি। বাংলাদেশের সঙ্গে আগামী দিনের উন্নয়ন সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন আখিম। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, এখনই নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এ বিষয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি বিবৃতি ইস্যু করা হবে। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার নির্বাচন করতে পেরেছে বলে আমরা অভিনন্দন জানাই। এটা গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয়। চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে। চীন বাংলাদেশের নতুন সরকার ও জনগণের সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অনুষ্ঠানে বা অনুষ্ঠান শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা বলেননি।

সর্বশেষ খবর