ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে চাচা-ভাতিজা নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বাঘাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার নেপথ্যে স্বর্ণ চোরাকারবারির টাকা ভাগবাঁটোয়ারার কাহিনি রয়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ বাঘাডাঙ্গা বিওপির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। গ্রামবাসীকে উদ্ধৃত করে পুলিশ জানায়, গতকাল বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মৃত নয়ন ম লের ছেলে মিন্টু ম ল (৫০) এবং তার ভাতিজা ও শামছুল ম লের ছেলে শামীম হোসেন (৩৫)। জানা যায়, নিহত শামীমের ভাই রফি ম লের সঙ্গে একই গ্রামের পেনা ম লের ছেলে তরিকুল ইসলাম আকালের স্বর্ণ চোরাকারবারির ব্যবসা ছিল। একপর্যায়ে তরিকুল স্বর্ণ ব্যবসার প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। আত্মসাৎকৃত টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে গত দুই মাসে নানা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। শেষ পর্যন্ত গতকাল রফি ম লের ভাই মন্টু ও ভাতিজা শামীম হোসেনসহ পাঁচ-সাতজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তরিকুল ইসলাম আকালের বাড়িতে হামলা চালান। সে সময় আকাল নিজ বাড়ির ছাদ থেকে তার পিস্তল দিয়ে পরপর ৩ রাউন্ড গুলি চালান। এতে গুলিবিন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শামীম।
গুলিবিদ্ধ হন চাচা মিন্টু ম ল। গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে মারা যান তিনি। মহেশপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, দোষী ব্যক্তিকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।