বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত জনগণ

মাহবুব উদ্দিন খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত জনগণ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি মহাসচিবসহ প্রায় ২৭ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৮০০ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনাই প্রমাণ করে বর্তমান সরকার নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে এতে বিএনপি মোটেও শঙ্কিত নয়। নেতা-কর্মীরা এখনো চাঙা রয়েছেন। জনগণও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমাদের আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। আমরা বলেছি দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। আমাদের কথাই আবারও প্রমাণিত হলো। আওয়ামী লীগ অনেক চেষ্টা করেছে বিএনপিকে ভেঙে দেওয়ার। কিছু নেতা-কর্মী নিয়ে দুই তিনটা কিংস পার্টিও বানিয়েছে। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ ভোট বর্জন করেছে। জনগণ আন্দোলন-সংগ্রামের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে। সারা দেশেই নেতা-কর্মীরা চাঙা রয়েছে। বিএনপি কর্মী এবং সমর্থকনির্ভর দল। এ দলের একজন জেলে গেলে আরেকজন দায়িত্ব নেবে, এতে কোনো সমস্যা হবে না। এই ভোটবিহীন সরকারের পতন হবে বলেই আমরা আশা করছি। ব্যারিস্টার খোকন বলেন, বিএনপির প্রায় ৪৫ লাখ নেতা-কর্মী মামলার আসামি। ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঘিরে সরকার গভীর ষড়যন্ত্র করেছে। এর মাধ্যমে শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে অন্তত ২৭ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ লাখের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা দেওয়ার কারণও এখন প্রমাণিত। মূলত নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আন্দোলন সংগ্রাম দমিয়ে রাখারই ষড়যন্ত্র এটা। নির্বাচনটা করা হয়েছে বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করে এবং বৃহৎ রাজনৈতিক দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে।

তিনি বলেন, যে নির্বাচন হয়েছে, আইন অনুযায়ী এটা কোনো নির্বাচনই নয়। সরকারি দলও আওয়ামী লীগ, বিরোধী দলও আওয়ামী লীগ। এমন একটা নির্বাচন হলো, প্রকৃতপক্ষে সেখানে ২ থেকে ৩ শতাংশ ভোটও কাস্ট হয়নি। তাদের দলীয় লোকেরাও ভোট দেয়নি। দলের নেতা-কর্মীদের মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের অনেকেরই বিভিন্ন মামলায় জামিন হয়েছে। অনেকেরই আগাম জামিন হয়েছে। কিন্তু আমাদের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এখনো জেলে। জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অনেকেই এখনো জেলেই রয়ে গেছেন। আমরা তাদের বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মামলা-গ্রেফতার নিয়ে আমরা আর শঙ্কিত নই। খোকন বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা মামলা দেওয়া যে কোনো সৈরাচারী সরকারের অভ্যাসগত আচরণ। বর্তমান সরকারের সঙ্গে সামরিক সরকারের কোনো পার্থক্য দেখি না। মামলা মোকাবিলা করেই আমরা আগাব ইনশা আল্লাহ। যেসব মামলায় সাজা হয়েছে, আইনগতভাবে সবই দুর্বল। আমি মনে করি ভবিষ্যতে সবটিতেই খালাস পাবেন আমাদের নেতা-কর্মীরা।

সর্বশেষ খবর